ওয়াসিম শেখ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
সিরাজগঞ্জর চৌহালীতে শিশু সুবর্নাকে (৮) ধর্ষণ ও হত্যার ৭ বছর পর রহস্য উদঘাটন করেছে সিরাজগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই ঘটনার মূল আসামিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামী হলেন শিশুটির ফুপাতো ভাই ছাবির হাসান (২০) ও শাকিল খান (২১)।
সোমবার (২২ এপ্রিল ২০২৪ইং) সকালে এক প্রেস কনফারেন্সে এ তথ্য জানান পিবিআই এর পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম।
সে সময় তিনি আরো জানান, ২০১৭ সালে চৌহালী উপজেলার দত্তকাদি হাইস্কুল মাঠে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যায় শিশু সুবর্ণা (৮)। সেখানে দত্তকাদি গ্রামের রশিদ মেম্বারের ছেলে মিলন পাশা সহ অন্যান্য আসামিরা, আসামি ছাবির হাসানের সঙ্গে শিশু সুবর্ণাকে খেলতে দেখে। তখন আসামিরা শিশু সুবর্ণাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। তারা শিশু সুবর্ণাকে ধর্ষণের জন্য ছাবির হাসানকে ৭ হাজার টাকা দেয়ার প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি হয়ে ছাবির হাসান শিশু সুবর্ণাকে নিয়ে মধ্য শিমুলিয়া চরের ফসলের মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে একে একে ৮ জন দলবদ্ধ হয়ে শিশুটিকে ধর্ষন করে। এসময় শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বার বার বলতে থাকে সবাইকে আমি এ কথা বলে দিবো। এ কথা শুনে ধর্ষনকারীরা শিশুটিকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। শিশুটির পড়নের ওড়না দিয়ে তাকে শ্বাসরাধে হত্যা করে মরদহ ফেলে চলে যায়। এঘটনায় শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরে ২০২০ সালে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় পিবিআইকে।
এরপর পিবিআই ঐ মামলার তদন্তে নামে। তদন্তে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ও ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পায় একাধিক ব্যক্তি শিশুটিকে ধর্ষণ করে পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। গত ১৯ এপ্রিল শিশু সুবর্ণার ফুপাতো ভাই ছাবির হাসান (২০) কে ঢাকার শ্যামলী থেকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যর ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে শাকিব খান (২১) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তারা হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়।