মোঃ আলামিন সরকার,
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ।
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানা ও রায়গঞ্জ আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যসহ ১৯ জনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে আন্দোলনকারীরা। এছাড়া সংঘর্ষে যুবদল-ছাত্রদলের তিন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
সব মিলিয়ে এ জেলায় ২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়।
এ ছাড়া কয়েকজন সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
আজ (৪ই আগষ্ট) রোজ রবিবার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে এসব সংঘর্ষ ঘটে। এখন পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট দখল নিয়ে রেখেছে আন্দোলনকারীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
এ সময় ঘটনাস্থলের আশপাশে কোনো সাংবাদিক প্রবেশ করতে পারেনি। সাংবাদিক বা ক্যামেরা দেখলেই তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা হেনরী ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার লাবুর বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্নার বাড়ি।
এদিকে সিরাজগঞ্জ-৬ শাহজাদপুর আসনের সংসদ সদস্য চয়ন ইসলামের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এবং সরকারী ও বেসরকারী অফিস সহ মোটরসাইকেল প্রাইভেট কার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলা বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীরা শহরের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা, পুলিশ বক্স, জজ আদালত, উপজেলা ভূমি অফিস, অডিটোরিয়াম ভাঙচুর করেছে। এতে আরটিভির ভিডিও জার্নালিস্টসহ আহত হয়েছে অন্তত ৫০ জন।