মোঃ আলামিন সরকার,
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
বিগত তিন মাস বন্ধের পর শুক্রবার থেকে চালু হচ্ছে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের সময় বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-সিরাজগঞ্জ রুটের একমাত্র ট্রেনটি। এতে ভোগান্তিতে পড়েন নিয়মিত যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ই নভেম্বর) এদিকে সিরাজগঞ্জবাসী বলেন,আমরা সিরাজগঞ্জবাসী ব্যানারে ট্রেন চালু ও জেলার পুরাতন রেলস্টেশন গুলো সচলের দাবি জানিয়েছি এলাকার মানুষ বৃন্দ। ব্রিটিশ আমলে বানিজ্যিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দর সিরাজগঞ্জ থেকে কলকাতা পর্যন্ত বসানো হয় রেললাইন। শহরের মধ্যে হরিপুর, রায়পুর, বাজার ও বাহিরগোলায় স্থাপন হয় ৪টি রেল স্টেশন। এসব স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করতো ২০ থেকে ২৫টি ট্রেন। উত্তর ও দক্ষিন বঙ্গ থেকে ট্রেন এসে সিরাজগঞ্জ বাজার ষ্টেশন হয়ে পৌঁছাতো যমুনার ঘাটে।
অপরদিকে যমুনা সেতু চালুর পর রাজশাহী-খুলনা থেকে সরাসরি ঢাকায় চলাচল করে ট্রেন। এসব ট্রেন সিরাজগঞ্জে না আসায় অকেজো হয়ে পড়েছে বেশিরভাগ রেললাইন। সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী একমাত্র সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন ও জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন জেলার মানুষ।
আমরা সিরাজগঞ্জবাসী ব্যানারে ট্রেন চালুর দাবিতে গত তিন মাস আন্দোলন করেছে এলাকার মানুষ। এছাড়া, পুরাতন রেলপথ চালু করে শহরের মধ্যে দিয়ে ট্রেন চলাচলের দাবি তাদের।
আমরা সিরাজগঞ্জবাসীর সমন্বয়ক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, সিরাজগঞ্জবাসীর দাবি এই এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু এবং পুরাতন ঐতিহ্যকে রক্ষার জন্য শহরের মধ্যে দিয়ে হরিপুর, রায়পুর, হয়ে বগুড়ার দিকে যাবে এটা আমাদের দাবি।’
এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (পাকশী) শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ জানান, শিগগিরই ঢাকার সাথে সিরাজগঞ্জের ট্রেন আবারও চালু হচ্ছে। এছাড়া সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি আগের নিয়মেই সিরাজগঞ্জ-ঢাকার পথে চলাচল করবে। পরবর্তীতে বাজেট পেলে ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুটি পূর্ণাঙ্গভাবে মেরামত করা হবে।
সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হলে যাত্রীদের ভোগান্তি কমার পাশাপাশি পণ্য পরিবহন ও বাণিজ্যের সুযোগ সুবিধা তৈরি হবে বলছেন তারা।