ওসমানীনগর (সিলেট) সংবাদদাতাঃ
সিলেটের ওসমানীনগরে একটি মামলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য, যেখানে মামলার বাদী নিজেই জানেন না তার নামে কোনো মামলা হয়েছে! ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের পূর্ব রোকনপুর নাকির কোনা গ্রামে।
থানার রেকর্ড অনুযায়ী, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘আনফর মিয়া’ নাম ব্যবহার করে ওসমানীনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। মামলার নম্বর-৩, তারিখ ০৫/০৩/২০২৫, ধারা ১৪৩, ৩৪১, ৩৪২, ৩২৩, ৩৭৯ ও ৫০৬ পেনাল কোড অনুযায়ী। মামলায় একই ইউনিয়নের পূর্ব রোকনপুর গ্রামের ফয়জুর রহমান ও হাবিবুর রহমান ওরফে বাবুল মাস্তান সহ মোট ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তবে যিনি মামলার কথিত বাদী, পূর্ব রেকনপুর নাকির কোনা গ্রামের মৃত মো. খলিলুর রহমানের ছেলে মো. আনফর আলী জানান, তিনি কোনো মামলা দায়ের করেননি এবং এ বিষয়ে সম্পূর্ণ অজ্ঞাত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি থানা ও সিলেট আদালতে যোগাযোগ করে মামলার কাগজপত্র সংগ্রহ করে দেখতে পান, তার নাম ব্যবহার করে ‘আনফর মিয়া’ পরিচয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনাকে “ভুয়া ও ষড়যন্ত্রমূলক” বলে উল্লেখ করেন।
ঘটনার পর আনফর আলী একজন নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে একটি এফিডেভিট প্রস্তুত করেন, যেখানে তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে, মামলাটি সম্পূর্ণরূপে তার অজ্ঞাতে ও ইচ্ছার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে এবং এতে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—যদি একজন ব্যক্তি বাদী না হন, তাহলে কীভাবে থানায় না গিয়ে তার নামে মামলা দায়ের হতে পারে? এতে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ব্যাপক প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনায়েম মিয়ার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আনফর আলী নিজেই অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং তিনি তা অস্বীকার করতে পারবেন না।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ