সিলেট থেকে ক্রাইম রিপোর্টার:: সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে দক্ষিণ সুরমা ও উত্তর সুরমার জুয়ার আস্তানায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে খেলার সামগ্রীসহ জুয়ারীদের গ্রেপ্তার করে অবৈধ জুয়ার প্রতারণা বন্ধ করে নগরবাসীর প্রশংসা কুরালেও, দুটি থানার কয়েকটি জুয়ার আস্তানা বহাল থাকায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। জুয়ারীরা কোতোয়ালি এবং দক্ষিণ সুরমা থানাকে ম্যানেজ করেই চালায় তাদের জুয়ার রমরমা প্রতারণা।
দক্ষিণ সুরমার শীর্ষ জুয়ারী নজরুলের নতুন রেলওয়ে স্টেশনের প্রবেশ মূখের আস্তানায় গত ৫ মাসে একবার ডিবি,অভিযান চালালেও পুলিশ কোন অভিযান চালায়নি। অথচ ৩শত গজ দুরত্বে চাঁদনীঘাট মাছ বাজার আস্তানায় একদিন পর পর ডিবি অভিযান চালিয়ে জুয়াড়ীদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করছে। তেমনী আরেক আস্তানা জিঞ্জিরশাহ্ মাজার সংলগ্ন আরেক শীর্ষ জুয়ারী কাশেমের আস্তানা ও বালুর মাঠে বাচনের আস্তানা সেখানেও বিগত জানুয়ারীর পর থেকে আর অভিযান দেওয়া হয়নি। পাশেই বাঁশ পালা মার্কেট মেতর পট্টিতে অন্তরের আস্তানা, মার্কাস পয়েন্টে লাকসামী ফারুক, মেতর পট্টির রহিমার আস্তানা, সেখানেও ডিবি পুলিশ কোন অভিযান পরিচালনা করেনি। তাই সচেতন মহলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে আশে-পাশের সকল জুয়ার আস্তানায় অভিযান হয়, কিন্ত নজরুল, কাশেম, বাচন, অন্তর, লাকসামী ফারুক, রহিমা’র আস্তানায় কেন অভিযান হয়না?
সরেজমিন ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, নজরুলের আস্তানার পাশে মেইন রাস্তায় সারিবদ্ধ ভাবে লোকাল বাস দাড়িয়ে থাকে ফলে জুয়ার আস্তানা দেখা যায়না। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নজরুল জুয়ার প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের পকেট থেকে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় কদমতলী ফাঁড়ি ও ডিবির সোর্স পরিচয়দানকারী সানীর প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় চলছে দক্ষিণ সুরমায় নজরুল, কাশেম, বাচন, অন্তর, হারুন, গালকাটা আল-আমিন, রহিমা, লাকসামী ফারুক, জামাল, মানিক, রাজন, সোয়েব, উত্তর সুরমার বস্তা পট্টির শরীফ, পিয়াজ পট্টির মিজান এবং বেতের বাজারের শরীফের আস্তানা। এসব আস্তানায় প্রকাশ্যে দিবালোকে চলে জুয়ার রমরমা প্রতারণা। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে মধ্যেরাত পর্যন্ত চলে রমরমা জুয়ার আসর।
আবারো শীর্ষ জুয়ারী হারুন, মিতালীর স্টাফ গালকাটা আলামিনকে সাথে নিয়ে একত্রে
পার্টনারে জোয়ার বোর্ড পরিচালনা শুরু করেছে।
এবার জুয়ারী হারুনকে সামলাবে কে পুলিশ না ডিবি? জুয়ারী হারুন মিতালি পরিবহন ও শ্রমিকের নাম ভাঙ্গিয়ে চালাচ্ছে অবৈধ জুয়ার প্রতারণা। যমুনা মার্কেটের পিছনে রানা ফার্মেসীর পাশের দোকানে মিতালীর স্টাফ থাকার কথা বলে ভাড়া নিয়ে চলছে হারুনের অবৈধ জুয়ার প্রতারণা। পুলিশ ও ডিবি ম্যানেজ করার দায়িত্ব নিয়েছে সোর্স সানি।
এসব আস্তানা থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে দৈনিক ভিত্তিতে জুয়ার বোর্ড থেকে বখরা নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। তাই বন্ধ হচ্ছনা জুয়ার প্রতারণা।
ডিবির ভাবমূর্তি নষ্টকারী সোর্স সানীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডিবির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন স্থানীয়রা।
জুয়ার প্রতারণা সম্পর্কে জানতে দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন আমি বিষয়টি দেখছি,শীগ্রই অভিযান দেওয়া হবে। চলবে