নিজস্ব প্রতিনিধি>>সিলেটের এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে টিলায় নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগে আটক দুই আসামী আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
গণধর্ষণের অভিযোগে এয়ারপোর্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) এর ৭/৯(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-১০।
বুধবার (১২মার্চ) আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
জবানবন্দিতে তারা জানায়,জ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার জনৈক নারী বয়স (৩০) গত তিনদিন আগে কাউকে কিছু না বলে সিলেট শহরে চলে আসে।
প্রথমে শাহজালাল (রহঃ) মাজারে অবস্থান করার পর শাহপরাণ (রহঃ) মাজারে যান। তিনি মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ কিন্তু শারীরিকভাবে সুস্থ ছিলেন।
গতকাল (১১ মার্চ) সকাল আনুমানিক ৬ ঘটিকায় তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে লেগুনা ড্রাইভার ও তার সহযোগী লেগুনা (সিলেট ছ ১১-১২৭০) এ করে এয়ারপোর্ট থানাধীন ছড়াগাং চা বাগানের ১নং সেকশনস্থ তেমুখী রাস্তা সংলগ্ন পূর্ব পাশের টিলার উপর নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বারের সহযোগিতায় ভিকটিমকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি তে ভর্তি করা হয়।
লেগুনার নম্বরের সূত্র ধরে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ শাহপরাণ (রহঃ) তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের সহায়তায় শাহপরান থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শাহপরান থানার দলুইপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ রাকিব মিয়া এবং একই থানার উত্তর মোকামের গোল পীরেরবাজার এলাকার হাসেম মিয়ার ছেলে আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করে। পরে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেন।