স্টাফ রিপোর্টারঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৪ আগস্ট পৌরসদরে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। সেই হামলায় নিহত হন গৌছ উদ্দিনসহ সাত জন। এই হত্যাকান্ডের ১৯ দিন পর ২৩/০৮/২০২৪ গৌছ উদ্দিন হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও সাবেক স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদসহ ১৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও দুই থেকে আড়াইশ’ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই হত্যা মামলার বাদী করা হয়েছে নিহত গৌছ উদ্দিনের ভাতিজা রেজাউল করিম। আর এতেই উপজেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ নিহত গৌছ উদ্দিনের ভাতিজা রেজাউল করিমসহ পরিবারের সদস্যদের দাবি তারা এই মামলার ব্যাপারে কিছুই জানেন না। এছাড়াও এই আন্দোলনে গৌছ নিহতের পর দাবি উঠেছিল যে পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে মামলায় কোন পুলিশ সদস্যকে আসামী করা হয়নি। জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট গোলাপগঞ্জ পৌরসদরে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। এসময় গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ঘোষগাঁওয়ের মৃত মোবারক আলীর ছেলে গৌছ উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। হত্যাকান্ডের ঘটনায় গোলাপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী হিসেবে উল্লেখ করা হয় নিহত গৌছ উদ্দিনের ভাতিজা উত্তর ঘোষগাঁওয়ের সেলিম উদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিমের নাম। মামলায় সিলেট-৬ আসনের (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ ১৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও দুই থেকে আড়াইশ’ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ঘটনার সময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা গুলি করেছে। কিন্তু মামলায় পুলিশের কোন কর্মকর্তা বা সদস্যকে আসামী করা হয়নি। মামলার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হলে মামলার বাদী রেজাউল করিম এবং তার পরিবারের সদস্যদের দৃষ্টিগোচর হয়। এরপর এক ভিডিও বার্তায় রেজাউল করিম মামলা দায়েরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমার চাচা নিহতের ঘটনায় কে বা কারা আমার স্বাক্ষর জাল করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। আসামী করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে হয়রানি করা হচ্ছে। এ অভিযোগ সম্পর্কে আমি বা আমার পরিবারের সদস্যরা কিছুই জানেন না।’ নিহত গৌছের ভাই আবুল কালাম তার বক্তব্যে বলেন, ‘কে বা কারা নির্দোষ মানুষকে হয়রানি করছে। আমরা থানায় কোন মামরা করিনি। আমার মা অসুস্থ। তাকে নিয়ে আমরা ব্যস্ত। আমরা কোন নির্দোষ মানুষকে হয়রানি করবো না।’ গৌছ উদ্দিনের আরেক ভাই শামীম আহমদ বলেন, ‘ফেসবুকে দেখেছি আমার ভাই হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অনেক নিরীহ লোকককে আসামীর তালিকায় রাখা হয়েছে। আমার ভাইয়ের সাথে ভালো সম্পর্ক ছিলো এমন অনেককে আসামী করা হয়েছে। এসব করলে নিরীহ মানুুষের অভিশাপ লাগবে। গৌছ উদ্দিনের অসুস্থ মা এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না। আমার ছেলেদের নিষেধ দিয়েছি এখন মামলা না করতে। আমি সুস্থ হওয়ার পর যা করার দরকার তা তারা করবে।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ