সিলেট ব্যুরো :::
গতকাল ছিলো রমজানের শেষ শুক্রবার। মুসলিম উম্মাহর কাছে দিনটি জুমাতুল বিদা নামেও পরিচিত। এটি রমজান মাসকে এক বছরের জন্য বিদায়ের ইঙ্গিত দেয়। এ উপলক্ষে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর দরগা মসজিদ, কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদ, সিলেট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসহ প্রত্যাকটি মসজিদে ঢল নামে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মসজিদ প্রাঙ্গণসহ আশপাশ।
জুমার নামাজের খুৎবায় ইমাম ও খতিবগণ যাকাত, সদাকাতুল ফিতর, লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও জরুরী মাসলা-মাসায়েল সম্পর্কে বিশেষ বয়ান করেন। এছাড়া নামাজ শেষে ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বর ইসরাইলি সেনাদের মুসলিম শিশু নারী পুরুষ হত্যাযজ্ঞ এবং ভারতে মুসলিম নিপীড়ন মাদরাসা বন্ধের প্রতিবাদে মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজ শেষে দেশ, জাতি মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে মাহে রমজানের খায়ের বরকত ও নৈকট্য লাভে সর্বস্তরের মুসল্লিদের মাঝে কান্নার রোল পড়ে যায়। ইসলামী বিধান অনুযায়ী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের কাছে পবিত্র জুমাতুল বিদার নামাজের গুরুত্ব অনেক। রমজান মাসের জুমার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত আরো বেশি হওয়ায় মুসল্লিরা বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে আদায় করেন এই নামাজ। এ জন্য অন্য সময়ের তুলনায় মসজিদগুলোতে রোজাদার মুসল্লিদের ভিড় বেশি থাকে।
এর আগে বেলা ১২টা থেকে মুসল্লিরা দরগা মসজিদে আসা শুরু করেন। দুপুর ১টার আগেই পূর্ণ হয়ে যায় মসজিদের ভেতরের মূল অংশ। আজানের পর মসজিদের ওপর-নিচ ভরে যায়। নামাজের সময় মসজিদ ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। পাশে খোলা জায়গায় কাতার করে নামাজ আদায় করেন অনেকে। এসময় অন্যরকম উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে জুমা পড়তে আসেন শিশু-কিশোররাও।