সিলেট থেকে বিকাল বার্তা প্রতিবেদক>> সিলেটের বিআইডিসি এলাকার বহর ও খাদিম নগর মৌজায় বহর আলবারাকায় তদন্ত চালিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)।
জানা যায় ১৮ অক্টোবর দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২.০০ ঘটিকার সময় জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন এর শাহ্পরান থানা শাখার সভাপতি নির্যাতিত সাংবাদিক মোঃ মঈন উদ্দিনকে সাথে নিয়ে বিআই ডিসি বহর কলেনীর ভিতরে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৩৪ নং ওয়ার্ড এলাকায় বহর পশ্চিম শেষ মাথায় আক্কাস আলীর বাড়ীর পিছনে সরকারি জমি দখল করে রিপনগাজীর নেতৃত্বে একটি ভূমিখেকো ও টিলাখেকো চক্র প্লট করে অবৈধভাবে স্টাম্পের মাধ্যম বিক্রি করছে।
বিষয়টি তদন্ত করতে সিলেটের নবাগত জেলা প্রশাসক এর নির্দেশে সরেজমিন তদন্ত করতে খাদিম ভূমি অফিসের সহকারী তহশিলদারকে সাথে নিয়ে সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্তে আসেন। এসময় ৩৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন ছিলেন। তদন্তে নতুন ঘর নির্মানের সত্যতা পান। এসময় সাংবাদিক মঈন উদ্দিন তাহার ব্যবহ্নত মোবাইল দিয়ে কিছু স্থিরচিত্র ও ভিডিও ধারণ করেন। কিন্তু সহকারী তহশিলদার মঈন উদ্দিনের হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে মোবাইলে ধারণ করা স্থিরচিত্র ও ভিডিও মুছে ফেলেন। কারণ জানতে চাইলে বলেন ইউএনও ম্যাডামের নির্দেশে করেছি। তখন তিনি আরো বলেন আপনি অনুমতি না নিয়ে সরকারী কমকতার উপস্থিতিতে ছবি তুলে ভূল করেছেন।
বিষয়টি মঈন উদ্দীন মেনে নিতে না পেরে জেলা প্রশাসকে অবহিত করেছেন। জেলা প্রশাসকও অনুমতি নিয়েছিলেন কিনা জানতে চান, তখন মঈন উদ্দিন বলেন জি না, তিনি বলেন ঠিক আছে যা হবার হয়েছে পরবর্তীতে অনুমতি নিয়ে ছবি তুলবেন।
এ ব্যপারে জানতে ইউএনওর সাথে থাকা খাদিম নগর ভূমি অফিসের সহকারী তহশিলদার এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন বা ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করলে এবং সরেজমিন তদন্তে গেলে কেন একজন সাংবাদিক অনুমতি নিবেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন তিনি সাংবাদিক হিসেবে সেখানে যাননি, বাদী হিসেবে গিয়েছেন। তাই ইউএনও ম্যাডামের নির্দেশে উনার মোবাইলে ধারণ করা ছবি ও ভিডিও মুছে দিয়েছি। এরপর তিনি দাবী করেন পুকুর ভরাট হয়নি বিষয়টি মঈনউদ্দীন শিকার হয়েছেন অথচ তিনি অভিযোগে লিখেছেন পুকুর ভরাট করে ঘর নির্মান হচ্ছে।
এব্যপারে সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন আমার বদলির অর্ডার হয়েছে, যা হবার হয়ছে আর এ বিষয়টি নিয়ে যাওয়ার বেলায় নিউজ করার দরকার নেই, মন থেকে বাদ দিয়েদেন। যে কয়দিন আছি তথ্যদিয়ে সহযোগিতা করেন।
এই ভূমিখেকোদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে সহকারী তহশিলদার এর বিরুদ্ধে। যারা এখানে অপকর্মে লিপ্ত তারা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর সবাইকে ম্যানেজ করেই হাজার কোটি টাকার সরকারী খাসজমি দখল ও টিলা কেটে বসতবাড়ী নির্মান ও দেদারসে বিক্রি করছে।
উল্লেখ্য এর আগে ভূমিখেকোদের খাসজমি দখল ও বিক্রির বিষয়ে সিলেটের জেলাপ্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন সাংবাদিক মঈন উদ্দিন।
এ বিষয়ে জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলামকে অবগত করিলে তিনি বলেন অবৈধ দখলদার, ভূমিদস্যু, সরকারি জমি দখলদার রা দেশের ও জাতির শত্রু, এই ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিলে সরকারি সম্পদ উদ্ধার হবে?
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ