লাকী আক্তার:সিলেট:
জেলা প্রতিনিধি>>"জাতীয় দৈনিক বাংলাদশ সমাচার" সিলেট মহানগ র প্রতিনিধি ও সিটি প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক বিষু চন্দ্রনাথের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় অভিযোগ দায়ে করা হয়েছে। আজ বুধবার ২০ নভেম্বর ৪ জনের নাম উল্ল্যেখ কর এবং অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে বিবাদী করে শাহপরান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিষু চন্দ্রনাথ। থানায় দায়ের করা অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বিষুর উপর হামলা চালানো হয়। তিনি অভিযোগে উল্ল্যেখ করেন, ১৮ নভেম্বর ভুমির কাগজ জালিয়াতির উপর "প্রথম সকাল" অনলাইন নিউজ পের্টালে একটি সংবাদ করা হয়। সংবাদ প্রকাশের পর অভিযোগে উল্ল্যেখিত ২ নং বিবাদী কুতুব উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে বিষুর মোবাইলে কল দিয়ে প্রাননাশের হুমকি দেন। এ বিষয়ে বিষু শাহপরান থানায় নিজের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারন ডায়েরী করেন নং-১০৬৮। বাদী আরো উল্ল্যেখ করেন, ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যা অনুমান ৬ ঘটিকার সময় বাদীর নিজ ব্যবসা প্রতিষ্টানের জন্য ১ লাখ টাকা নিয়ে ইসলামপুর বাজারে যাওয়ার পথে অজ্ঞাতনামা ১ জন ব্যক্তি বিষুকে পথে আটকিয়ে বলে একটি নিউজ আছে।
তখন বাদী পরে দেখবেন বলে হাটা শুরু করার মুহুর্তে বিবাদীগণের হুকুমে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন লোক সাংবাদিক বিষুকে পিছন থেকে ঝাপটে ধরে জোরপূর্বক কালো রংয়ের নোহা গাড়িতে তুলে মুখে কাপড় বেধে মুগিরপাড়ার পিছনের হাওরে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়।
তিনি অভিযোগে আরো উল্ল্যেখ করেন, গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে সাংবাদিক বিষুকে হাওরের মধ্য বিরর্জন যায়গায় এলোপাতাড়ি ভাবে কিল-ঘুষি, মারিয়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলাজখম করে এবং অজ্ঞাতনামা লোকজন তাকে উলঙ্গ করিয়া ভিডিও ধারণ করে।
অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ১নং বিবাদীকে মুঠোফোনে বলে রতনদা শুনেন মারধর চলছে সে চিৎকার করিতেছে, তাকে কি মেরে ফেলবো, না মেরে ফেললে মার্ডার মামলার আসামী হয়ে যাব। তখন ওদের একজন বলে টাকা নিয়ে তৈরী থাকেন আমি আসতেছি বলে চলে যায়। আধা ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে ফিরে এসে বলে ওকে ছেড়ে দে আর মারিছ না।
তখন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের মধ্যে একজন বিষুর সাথে থাকা স্মার্টফোনসহ ব্যবসার নগদ এক লক্ষ টাকা নিয়ে নেয়। পরে বিষুর ফোনে থাকা সকল প্রকার জরুরী ডকুমেন্ট কেটে স্মার্টফোন ফেরত দিয়ে টাকা নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ঘটনার পরে সাংবাদিক বিষু কোন রকম মুগিরপাড়া মুল রাস্তায় আসলে তাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। সাংবাদিক বিষু চন্দ্রনাথ মেজটিলার ইসলামপুরের নাথপাড়ার বিরেন্দ্র দেবনাথের ছেলে।
এম এ জি ওসমানী মেডিকেল চিকিৎসা শেষে সাংবাদিক বিষু চন্দ্র নাথ বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্ল্যেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে বিবাদী করে শাহপরান থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন:-১। রতন মনি মোহন্ত (৬৫), পিতাঃ স্বর্গীয় রসময় মোহন্ত, সাং- নাথপাড়া, রজনী নিবাস, পোঃ ইসলামপুর, থানাঃ শাহপরাণ (রহ:), জেলাঃ সিলেট, ২। কুতুব উদ্দিন (৪৮), পিতাঃ রিয়াজ আলী, সাং- নূরপুর, পোঃ ইসলামপুর, থানাঃ শাহপরাণ (রহ:), জেলাঃ সিলেট, ৩। জীবন মজুমদার (৫৫), পিতাঃ অজ্ঞাত, সাং- আটালু আ/এ, পোঃ ইসলামপুর, থানাঃ শাহপরাণ (রহ:), জেলাঃ সিলেট, ৪। ধীরেন্দ্র দেব নাথ নয়ন (৪৮), পিতাঃ অজ্ঞাত, সাং- নাথপাড়া, সারধা মন্দির ভাড়া বাসা, পোঃ ইসলামপুর, থানাঃ শাহপরাণ (রহ:), জেলাঃ সিলেট সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনলোক।
শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় বুধবার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত করে দ্রুত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে সাংবাদিক বিষু চন্দ্রনাথের উপর হামলার খবর ছড়িয়ে পরলে সিলেটের কর্মরত সাংবাদিকরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানান।সাংবাদিক বিষুর উপর হামলার ঘটনায় সিলেট সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি বাবর হেসেন বলেন, বর্তমানে সাংবাদিকদের সংবাদের কথা বলে ডেকে নিয়ে হামলার ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের উপর হামলা হলেও আইনী সহযোগীতা পেতে অনেক সময় লেগে যায়। তিনি বিষুর উপর হামলাকারিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্হা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
সিটি প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আব্দুল হালিম সাগর বলেন, সাংবাদিকরা বর্তমানে নিরাপদ নয়। প্রতি মুহুর্তে সাংবাদিকরা আতংকের মধ্যে তাদের দায়ীত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে মারধর করা সন্ত্রাসীদের কাছে সহজ পন্তা। তিনি সাংবাদিকদের দায়ীত্ব পালনে আরো সজাগ হওয়ার আহবান জানান। তিনি বিষুর উপর হানলায় জড়িতদের দ্রুত আটক করে শাস্তির আওতায় আনার জন্য জোর দাবী জানান। এদিকে সিটি প্রেসক্লাবের অন্যান্য সদস্যবৃন্দও হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করে দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ