নিজস্ব প্রতিবেদক>> সিসিক'র ৩২ নং ওয়ার্ডের আঠালু আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সিলেট বিভাগীয় স্যাটেলমেন্ট অফিসের সার্ভেয়ার পরিচয়ধানকারী প্রতারক কে এই জিবন জানতে চায় সিলেটবাসী। তাহার প্রতারণার ফাঁদে ফেলে এনিমি জমির কাগজ, বিএস কাগজ, ভলিউম পাল্টানোসহ সকল জালিয়াতির মূল হোতা এই জীবন দাস। লক্ষ লক্ষ টাকার দর-কষাকষি করে বিভিন্ন জনকে বোকা বানিয়ে কাগজ সংশোধনের নামে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় জীবন দাসের মূলবাড়ী জৈন্তাপুর উপজেলার সারিঘাট এলাকায়। প্রায় ১০ বছর আগে ২০১৪ইং সালে সিলেট শহরতলীর আঠালু একাকায় সেনবাড়ীতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এরপর পরিবার চালাতে রোজের কামলা হিসেবে কাজ করেন একপর্যায়ে মোমবাতির ব্যবসা শুরু করে তিন বছর যাবৎ চালান। এরপর নুরপুর এলাকার জাল কুতুবের সাথে পরিচয় হয়, শুরু হয় জাল জালিয়াতির ব্যবসা, জালিয়াতির কাজ করতে গিয়ে সিলেট বিভাগীয় স্যাটেলমেন্ট অফিসে আসা যাওয়া শুরু করেন, এর পর তিনি স্যাটেলমেন্ট অফিসের বিভিন্ন ভূমি কর্মকর্তার সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে বিভিন্ন কাগজপএ সংশোধন করতে মানুষের কাছ থেকে বড় অংকের টাকার লেনদেন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এর পর সর্বশেষ সাধন বাবুর সাথে পরিচয় ও সখ্যতা। পরিচয় থেকে ঘনিষ্ঠতা, শুরু হয় দুজনের কাগজ সংশোধনের নামে মানুষের সাথে প্রতারণা। তারা ২লাখের নিচে কোন কাগজ সংশোধনের কাজ করেননা।
এরকম এক ভুক্তভোগী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন ২ ডিসিমিল জমির বিএস সংশোধন করতে জীবন ৩ লক্ষ টাকা দাবী করে বলেন এক দেড় মাসের মধ্যে কাজ হয়ে যাবে। ভুক্তভোগী ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বলার পরও তার কাজটি করা হয়নি। এরকম বিভিন্ন জনের অভিযোগ এসেছে প্রতিবেদকের কাছে।
জীবন দাস প্রতারণা ও দালালী করে মাত্র ৬/৭ বছরে আঠালু এলাকায় বেশ কয়েকটি প্লটের মালিক হয়েছেন। এছাড়াও আঠালু এলাকায় একতলা বাসাসহ ৫ ডিসিমিলের একটি প্লট কিনেছেন। খালি একেকটি প্লটের দাম ৪০ থেকে ৪৫ লক্ষ টাকা। এই হিসাবে তিনি কয়েক বছরে প্রায় ১০ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তিনি বিভিন্ন হাউজিং ব্যবসার সাথে জড়িত। একসময় যার নুন আনতে পানতা ফুরাতো তিনি এখন টাকার উপর ঘুমান।
জীবন দাসের পেশা সম্পর্কে জানতে তাহার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন আমি আগে মাঠে কাজ করতাম এখন করিনা। বিভাগীয় স্যাটেলমেন্ট অফিসের সার্ভেয়ার কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন না। কেন স্যাটেলমেন্ট অফিসে যান জানতে চাইলে বলেন তিনি যাননা। কাগজপত্রের কাজ করেন কিনা জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। এরপর সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে জীবনকে স্যাটেলম্যান্ট অফিসের লিফটের সম্মূখে কাগজের ব্যাগে ফাইলসহ পাওয়া যায়।
পরিবেশ অধিদপ্তরেও সে দালালী করে বলে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বদরুল হুদাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন রতন মনিকে আসামী থেকে বাদদিতে তাকে অনুরোধ করেছেন কিন্তু তিনি বাদ দেননি।
জীবন দাস সম্পর্কে জানতে সিলেট বিভাগীয় স্যাটেলমেন্ট অফিসে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে যুগ্ন সচীব এমরান হোসেনকে না পেয়ে তাহার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন জীবন দাস নামে কোন সার্ভেয়ার নাই, কেউ পরিচয় দিলে সে দালাল, প্রতারক, তাহার সাথে কোন লেনদেন না করতে নিষেধ করেন, এবং দিপন চাকমা নামে একজন সার্ভেয়ার আছে বলে শিকার করেন।চলবে সাধন বাবুকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন ।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ