নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় নান্টু-নাজু-শাহিনের রমরমা মাদক ব্যবসা, পুলিশের নীরব ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সচেতন মহল। তাদের দাবী একটি দেশ বা জাতি ধ্বংস করতে হলে প্রথমেই যুবসমাজকে ধ্বংস করতে হয়, আর সেই কাজটি করছে মাদক ব্যবসায়িরা। অথচ আমাদের পুলিশের গুটিকয়েক অসাধু সদস্য নিজেদের সামান্য লাভের আশায় অদৃশ্য কারণে যুবসমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা না করে বরং অন্ধকারে টেলে দিচ্ছেন। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে সচেতন মহলকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পুরাতন রেল স্টেশনের ঝাড়ুদার প্রদীপ লাল এর পুত্র মাদক ব্যবসায়ী নান্টু, মেতরপট্টি গলির মূখের কালিয়ার স্ত্রী নাজু এবং বড়ইকান্দি রুটিয়ালা বাড়ীর শাহিনের রমরমা মাদক ব্যবসার ভয়াল থাবায় ধ্বংসের পথে যুবসমাজ অতিষ্ট স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নান্টু লাল নগরীর দক্ষিণ সুরমার পুরাতন রেল স্টেশনে এবং কীন ব্রিজের নিচে মেতর পট্টি ও পুরাতন রেলওয়ে প্লাটফর্মে নির্বিঘ্নে জিআরপি থানা পুলিশের সামনে
প্রকাশ্যে দিবালোকে মাদক ব্যবসা করছে।জিআরপি থানার সামনে এসব অপরাধ চল্লেও রেলওয়ে পুলিশের নীরব ভূমিকা রহস্যজনক।
মাঝে মধ্যে অভিযান দিয়ে জুয়াড়ীদের বিতারিত করলেও বন্ধ হচ্ছেনা নান্টুর মাদক ব্যবসা। কখনও পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্ম আবার কখন প্লাটফর্মের বাহিরে উত্তর পশ্চিম দিকের পাবলিক টয়লেটের বারান্দায় দেদারছে চলে নান্টুর মাদকের রমরমা বাণিজ্য।
এছাড়া নান্টু লাল কীন ব্রীজের নিচে মেতর পট্টি এলাকায় আইসিকে ম্যানেজ করে তাহার অবৈধ মাদক ব্যবসা চালায়।
নাজু মেতর পট্টি এলাকায় এবং কীন ব্রিজের নিচে প্রকাশ্যে দিবালোকে গাজা ও ইয়াবা ব্যবসা করলেও কদমতলী ফাঁড়ির ভূমিকা রহস্যজনক। মাদক ব্যবসায়িরা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছে ফাঁড়ির আইসিকে ম্যানেজ করেই চলে তাদের রমরমা মাদক বাণিজ্য।
আর শাহিন খেয়াঘাট, বাঁশপালা মার্কেট, টেনিকেল রোড, সুরমা মহল আস্তানায় এবং মেতর পট্টিতে চালায় মাদক ব্যবসা। সে মোবাইলে ইয়াবার অর্ডার নিয়ে গ্রাহকদের কাছে মাল পৌছে দিয়ে থাকে।
মাদক ব্যবসায়ী মজনু প্রবাসে চলে গেলে এই এলাকার কর্তৃত্ব নান্টু তার দখলে নেয়। নিম্ন আয়ের মানুষ নান্টু লালের মাদকের ছুবলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
নান্টু লাল, নাজু ও শাহিনের মূল ব্যবসাই হচ্ছে মাদক। তারা রেলওয়ে স্টেশন এলাকা ও মেতর পট্টিতে পুলিশের সামনেই গাজা ও ইয়াবা ব্যবসা চালায়। পাইকারী ও খুচরা দুইভাবে চলে নান্টু, নাজু ও শাহিনের অবৈধ মাদক ব্যবসা। নান্টুর বিরুদ্ধে ৩টি, নাজুর বিরুদ্ধে ৫টি এবং শাহিনের বিরুদ্ধে ৩টি মাদকের মামলা রয়েছে বলে বিশ্বস্থ একটি সূত্র জানিয়েছে।
স্থানীয়রা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেনা। সাহস করে কেউ যদি কথা বলে তাহলে সুইপার এবং ঝাড়ুদার দারা নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তাই কেউ প্রতিবাদ করতে চায়না।
স্থানীয়রা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন প্রশাসন কঠোর না হলে নান্টু, নাজু ও শাহিনের মাদক ব্যবসা বন্ধ করা যাবেনা। মাদক ব্যবসা বন্ধে ডিবির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন দক্ষিণ সুরমার সচেতন মহল।
নান্টুর নেতৃত্বে জিআরপি থানা এলাকা, কীন ব্রীজের নিচে, নাজুর নেতৃত্বে কীন ব্রিজের নীচ, মেতর পট্টি এবং শাহিনের নেতৃত্বে বাঁশ পালা মার্কেট খেয়াঘাট ও মেতর পট্টিতে গড়ে উঠেছে বিশাল মাদকের সিন্ডিকেট। এই মাদকের ভয়াল থাবায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দক্ষিন সুরমার যুবসমাজ।
এব্যপারে কদমতলী ফাঁড়ির আইসি আবুল হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাহার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ