বিকাল বার্তা প্রতিবেদক>>
সিলেটের সুলতান’স ডাইনে খাসির মাংস সরবরাহ হয় যেখান থেকে সেখানে তীব্র দুর্গন্ধে টিকতে পারছে না মানুষ। স্থানীয়রা এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন। তোপের মুখে পড়েছে সুলতান ডাইন কর্তৃপক্ষ। ভোক্তা অধিকার বলছে, অভিযোগ সত্য হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট নগরের দাঁড়িয়াপাড়া এলাকার ইমন হাউজিং এলাকার একটা ভাড়া বাসা থেকে গত কয়েকদিন ধরে দুর্গন্ধ ভেসে আসছিল। এতে চরম বিরক্ত ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ বিকেলে কয়েকজন স্থানীয় যুবক সেখানে যান এবং দেখতে পান ওই বাসায় খাসির মাংস মজুত করে রাখা আছে। পরে জান যায় এগুলো সুলতান’স ডাইনের খাসির মাংস।
দায়িত্বরতরা জানান, এখানে দুর্গন্ধ আছে, সেটা সত্য। কারণ, এখানে রাখা খাসির মাংস সিলেটে জবাই করা খাসির নয়। ঢাকায় খাসি জবাই দেওয়ার পর এসব মাংস এখানে আনা হয়েছে। তাই এমন গন্ধ বের হচ্ছে।
এ বিষয়ে সুলতান’স ডাইনে মাংস সরবরাহকারী মোহাম্মদ সুমন বলেন, ঢাকার কাপ্তানবাজারে আমাদের দোকান আছে। খাসিগুলো সেখানে জবাই করা। সেখান থেকে মাংস বস্তায় ভরে বাসে করে সিলেটে আনা হয়। কদমতলী থেকে এসব মাংস এ বাসায় রেখে সুলতান’স ডাইনে সরবরাহ করি।
ওই বাসার পাশের একটি বাসার ভাড়াটিয়া রনজিত সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার পাশের ঘর থেকে সিলেটের সুলতান‘স ডাইনে মাংস সরবরাহ করা হয়। প্রথমে তারা এখানে মাংস কাটত। অভিযোগ দেওয়ার পর এখন আর ঘরে না কেটে বাসার পাশের বাউন্ডারি সংলগ্ন জায়গায় মাংস কাটাকাটি ও ধোয়ার কাজ করে। মাংসের বাজে গন্ধে ঘরে থাকা যায় না।
এ বিষয়ে সুলতান’স ডাইন সিলেট শাখার ম্যানেজার (অপারেশন) জুলকার আহমদের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে সাংবাদিকদের উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, আপনারা কি কোনো প্রমাণ পেয়েছেন আমরা এখান থেকেই মাংস সংগ্রহ করি? পরে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রমাণ আছে বললে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে নেন।
জুলকার আহমেদ বলেন, আমরা প্রতিদিনের মাংস প্রতিদিনই কাজে লাগাই। কোনো ‘ফ্রোজেন’ মাংস আমরা ব্যবহার করি না।
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা ঢাকার কাপ্তানবাজারে জবাই করা খাসির মাংস কীভাবে সিলেটে এনে ব্যবহার করেন এমন প্রশ্ন করলে, কোনো উত্তর দিতে পারেননি তিনি।এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরসিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শ্যামল পুরকায়স্থ বলেন, ‘এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নে। ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করাই আমাদের কাজ।’
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ