এ এ রানা::
সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্য কোথাও শ্রমিক কল্যাণের নামে চাঁদা তোলা করা যাবে না বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান। তিনি বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আইনের প্রতি সম্মান জানানো প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য। এ জন্য আইন মেনে চলতে হবে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ তথ্য জানান সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পরিবহন সেক্টরে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় শ্রমিক ও পরিবহণ মালিক সমিতির নেতাদের উদ্দেশ্যে পুলিশ কমিশনার এই নির্দেশনা দিয়ে এসব কথা বলেন।
সভায় পরিবহন সেক্টরে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ সময় সিলেট মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ছয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার, এনএসআই ও ডিজিএফআই প্রতিনিধি, র্যাব প্রতিনিধি এবং সিলেট জেলার বিভিন্ন পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, সিলেট একটি প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা। সিলেটের মানুষ শান্তিপ্রিয়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি যে ঘটনা ঘটেছে সেটা সিলেটের সংস্কৃতির সাথে বেমানান এবং সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনার জন্য সাধারণ মানুষকে দীর্ঘ সময় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। র্যাব আইনগত প্রক্রিয়ায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে। এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য থাকলে আলোচনা করা যেতো। কোনো আলাপ আলোচনা ছাড়া রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া উচিত হয়নি। বিষয়টি মহান জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়েছে।
সভায় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা ওইদিনের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তারা বিভিন্ন মামলায় যে শ্রমিকদের আসামি করা হয়েছে এ সকল মামলার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।
তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ কমিশনার বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়া নির্দোষ কারও বিরুদ্ধে পুলিশ রিপোর্ট দেওয়া হবে না। পরিবহন নেতারা পুলিশ কমিশনারের কাছে বিভিন্ন এলাকায় জুয়া, মাদক ও অপরাধী কর্মকাণ্ড বন্ধের বিষয়ে সহযোগিতা চাইলে পুলিশ কমিশনার সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্), উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর), উপ -পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ), উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি), পুলিশ সুপার (সিলেট জেলা), উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি), উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক), অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি ও মিডিয়া), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিলেট জেলা), উপ-পরিচালক (ডিজিএফআই), উপ-পরিচালক (এনএসআই), সহকারি পুলিশ সুপার (র্যাব-৯) গোলাম হাদী ছয়ফুল, সিলেট জেলা ট্রাক,পিকআপ, কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি ও সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি মো. সাহেদুর রহমান, সিলেট জেলা টান্সপোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম, বাস, মিনিবাস, শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি ইফতেখার আহমদ, সিলেট জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি হুমায়ুন আহমেদসহ সিলেট জেলা, ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি সহ সড়ক পরিবহন ও শ্রমিক ইউনিয়নের অন্যান্য প্রতিনিধিরা।