সিলেট বিভাগীয় ব্যুরো আব্দুল আলীম রানা: চোরাচালান প্রতিরোধে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে একের পর এক রুদ্ধশ্বাস অভিযান অব্যাহত রেখেছে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সীমান্তে বিজিবিকে পিঠ না দেখানোর কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বতীকালীন সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় বিজিবি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী বিএসএফ এর বিপরীতে আত্মমর্যাদাবোধ বজায় রেখে সীমান্তে কঠোর অবস্থানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) সূত্রে জানা যায়, বিজিবি সিলেট সেক্টরের অধীনস্থ সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর দায়িত্বাধীন সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন বিওপি’র সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধে পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে নভেম্বর মাসে ভারতীয় চিনি, মাদকদ্রব্য, ঔষধ, গরু-মহিষ, শাড়ি-কাপড়, লেহেঙ্গা, কসমেটিকস ও বাংলাদেশি রসুনসহ বিভিন্ন প্রকার ২৬ কোটি টাকার চোরাচালান জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া তামাবিল আইসিপি দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় মামলার জামিনে থাকা একজন ইউপি চেয়ারম্যান ও অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশকালে ৫ জনসহ মোট ৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ৫ নভেম্বর সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং সীমান্তের রাধানগর ও ইসলামপুর এলাকায় সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর উপ-অধিনায়ক মেজর মোঃ নূরুল হুদা’র নেতৃত্বে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় কসমেটিকস ও ঔষধসহ সিলেটের এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় চোরাচালান জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ছিলো ৮ কোটি ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৬৫০ টাকা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ হাফিজুর রহমান, পিএসসি বলেন- আমরা উর্ধ্বতন সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান দমন, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং অবৈধ বর্হিগমন প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সচেষ্ট রয়েছি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং দেশের প্রয়োজনে যেকোনো কাজে বিজিবি সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকবে।
এদিকে বিজিবি কঠোর অবস্থানে থাকলেও সীমান্তের থানাগুলোর দায়িত্বে নিয়োজিত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। গত একমাসে বিজিবি ২৬ কোটি টাকার চোরাইপণ্য আটক করলেও পুলিশ কোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেনি। ছাতক, দোয়ারাবাজার, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জরা আছেন আয়েশি ভঙ্গিতে। তাছাড়া মহানগরীর শাহপরান, মোগলাবাজার, দক্ষিণ সুরমা, জালালাবাদ, বিমানবন্দর ও কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জরাও চোরাচালান প্রতিরোধে কাযকর ভূমিকা নিতে পারেনি, অথচ প্রত্যেকদিন সীমান্ত ও মহানগরীর থানার ভিতর দিয়ে দেড় শতাধিক গাড়ী চোরাইমালামাল বহন করছে। অভিযোগ আছে পুলিশকে ম্যানেজ করেই চলে চোরইপণ্যের জমজমাট ব্যবসা। পুলিশের এমন নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কারণে কিছু হলুদ সাংবাদিক তাদের আখের গোছাতে রাতের বেলা সিলেট তামাবিল লাইনে চেকপোস্ট বসিয়ে চাঁদাবাজি করছে। গাড়ী আটকের আইনি অধিকার না থাকলেও তারা পুলিশের মতো চোরাচালান বহনকারী ট্রাক আটকিয়ে ইচ্ছেমতো টাকা আদায় করছে। আগামীপর্বে থাকবে চোরাচালানের সাথে জড়িতদের নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন?
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ