জেলা প্রতিনিধি>>
মেয়রকে অপসারণের এক মাস সাত দিনের মাথায় সিলেট সিটি কর্পোরেশন এর সাধারণ আসনে ৪২ ও সংরক্ষিত আসনে ১৪ জন (নারী) মোট ৫৬ জন কাউন্সিলরকে অপসারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সিলেটসহ দেশের সব সিটি কর্পোরেশনে সব কাউন্সিলরদের অপসরাণ করা হয়ছে।
গত বছরের ২১ জুন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) পঞ্চম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আগের দুই বারের মেয়র বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী দলের নির্দেশে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। ফলে প্রায় খালি মাঠে লড়াই করে সিসিকের মেয়র পদে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নৌকা প্রতীকে পান ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল পান ৫০ হাজার ৮৬২ ভোট। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ৬৫ হাজার ৫১৯ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন। ওই বছরের নভেম্বরে তিনি সিসিক মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ১৯ আগস্ট সিলেটসহ দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করা হয়। তাদের অপসারণের পর সব সিটিতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশে মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের বদলে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার সিসিক প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এবার অপসরাণ করা হল সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৫৬জন কাউন্সিরকে।
গত নির্বাচনে সিসিকের ৪২ ওয়ার্ডে নির্বাচিত হওয়া সাধারণ কাউন্সিলররা ছিলেন- ১নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, ২নং ওয়ার্ডে বিক্রম কর সম্রাট, ৩নং ওয়ার্ডে আবুল কালাম আজাদ লায়েক, ৪নং
ওয়ার্ডে শেখ তোফায়েল আহমদ শেপুল, ৫নং ওয়ার্ডে রেজওয়ান আহমদ, ৬নং ওয়ার্ডে ফরহাদ হোসেন শামীম, ৭নং ওয়ার্ডে সায়ীদ মো. আবদুল্লাহ, ৮নং ওয়ার্ডে জগদীশ চন্দ্র দাশ, ৯নং ওয়ার্ডে মখলিছুর রহমান কামরান, ১০নং ওয়ার্ডে তারেক উদ্দিন, ১১নং ওয়ার্ডে আব্দুর রকিব বাবলু, ১২নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর সিকন্দর আলী, ১৩নং ওয়ার্ডে শান্তনু দত্ত সন্তু, ১৪নং ওয়ার্ডে নজরুল ইসলাম মুমিন, ১৫নং ওয়ার্ডে ছয়ফুল আমিন বাকের, ১৬নং ওয়ার্ডে আব্দুল মুহিত জাবেদ, ১৭নং ওয়ার্ডে রাশেদ আহমদ, ১৮নং ওয়ার্ডে এবি এম জিল্লুর রহমান, ১৯নং ওয়ার্ডে এস এম শওকত আমীন তৌহিদ, ২০নং ওয়ার্ডে আজাদুর রহমান, ২১নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর আব্দুল রকিব তুহিন, ২২নং ওয়ার্ডে ফজলে রাব্বী চৌধুরী, ২৩নং ওয়ার্ডে মোস্তাক আহমদ, ২৪নং ওয়ার্ডে হুমায়ুন কবির সুহিন, ২৫নং ওয়ার্ডে তাকবির ইসলাম পিন্টু, ২৬নং ওয়ার্ডে তৌফিক বক্স লিপন, ২৭নং ওয়ার্ডে আব্দুল জলিল নজরুল, ২৮নং ওয়ার্ডে রায়হান হোসেন, ২৯নং ওয়ার্ডে মাজহারুল ইসলাম শাকিল, ৩০নং ওয়ার্ডে রকিব খান, ৩১নং ওয়ার্ডে নজমুল হোসেন, ৩২নং ওয়ার্ডে রুহেল আহমদ, ৩৩নং ওয়ার্ডে দেলোয়ার হোসেন, ৩৪নং ওয়ার্ডে জয়নাল আবেদীন, ৩৫নং ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীর আলম, ৩৬নং ওয়ার্ডে হিরন মাহমুদ নিপু, ৩৭নং ওয়ার্ডে রিয়াজ মিয়া, ৩৮নং ওয়ার্ডে মো. হেলাল উদ্দিন, ৩৯নং ওয়ার্ডে আলতাফ হোসেন সুমন, ৪০নং ওয়ার্ডে লিটন আহমদ, ৪১নং ওয়ার্ডে ফখরুল আলম এবং ৪২নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর মতিউর রহমান।
আর সংরক্ষিত আসনে ১৪ ওয়ার্ডে বিজয়ী নারী কাউন্সিলররা ছিলেন-
১নং ওয়ার্ডে সালমা সুলতানা, ২নং ওয়ার্ডে কুলসুমা বেগম পপি, ৩নং ওয়ার্ডে রেবেকা বেগম রেনু, ৪নং ওয়ার্ডে মোছা. রুহেনা খানম মুক্তা, ৫নং ওয়ার্ডে শাহানা বেগম শানু, ৬নং ওয়ার্ডে শাহানারা বেগম, ৭নং ওয়ার্ডে নার্গিস সুলতানা, ৮নং ওয়ার্ডে শারমিন আকতার রুমি, ৯নং ওয়ার্ডে ছমিরন নেছা, ১০নং ওয়ার্ডে আয়শা খাতুন কলি, ১১নং ওয়ার্ডে সালমা আক্তার, ১২নং ওয়ার্ডে মোছা. হজেরা বেগম, ১৩নং ওয়ার্ডে ফাতেমা বেগম, ১৪নং ওয়ার্ডে বাবলি আকতার।