সিলেট ব্যুরো::
জৈন্তাপুরে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা নিবাস’ নির্মাণের টাকা কৌশলে হজম করলেন যুবলীগ’র যুগ্ম আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন।এনিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।জানা গেছে,বছরখানেক পূর্বে উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের করগ্রাম এলাকার মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মঈনুদ্দিনের একটি নিবাস(ভবন)নির্মাণের কাজ ভাগিয়ে নেন কথিত ঠিকাদার ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক কুতুবুদ্দিন।এরপর ঝোপ বুঝে কোপ মারা শুরু করেন তিনি।শাসকদলের প্রভাব কাটিয়ে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে ভবনের কাজ বন্ধ করার হুমকি দেখিয়ে তড়িঘড়ি করে ভবনের কাজ সম্পূর্ণ করেন।
তিনি অর্থ আত্মসাৎ করতে গিয়ে ভবন নির্মানে অতি নিম্ন মানের ইট,বালু,পাথর,সিমেন্ট,টাইলস্ ও টিন ব্যবহার করেছেন মর্মে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন ঐ ভুক্তভোগী। সেখানেই সে ক্ষান্ত হয়নি ভবন নির্মাণের গুণগত মান,ওয়ার্ক অর্ডার ও নকশা বর্হিভূত কাজ করে গেছেন।এছাড়া কৌশলে কাজ সম্পূর্ণ দেখিয়ে সরকারি বিল উত্তোলন করে নিয়েছেন। বর্তমানে ঐ ভবনের ব্যবহৃত টাইলস উঠে গেছে।
নিম্ন মানের টিন শেড ঝুলছে ছাদের উপরে। নেই কোন পানির ব্যবস্থা। এই দূরন্ত প্রতারকের কারণে লক্কর চক্কর ভবনে পরিবারের আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে অতি কষ্টে দিনযাপন করছেন ওই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সায়রা বেগম। কাজ চলাকালীন সময়ে সায়রস আপত্তি জানালে উল্টো ভবনের কাজ বন্ধ করার হুমকি দিতো নেতা পরিচয়কারী ব্যক্তি কুতুব। তাকে হুমকির মুখে জিম্মি রেখে কাজ সম্পূর্ণ করার চেষ্টাকালীন সময়েও ভুক্তভোগী সায়রা বেগম একাধিকবার মৌখিক অভিযোগ নিয়ে গেছেন সেখানের দায়িত্বরত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পিয়াইও এর নিকট কিন্তু এতেও কোন কাজ হয়নি। সবসময় তাকে থাকতে হতো হামলা,মামলার ভয়ে। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এর প্রতিকার চেয়ে বিগত ২৯ ফেব্রুয়ারি জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ঐ মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সায়রা বেগম। এদিকে সায়রা বেগমের সহীত আলাপকালে তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,সরকারীদলের লোক হয়ে সে নিম্ন মানের আসবাবপত্র দিয়ে ভবনটি তৈরি করলো। পিআইও তার পকেট মানি। দীর্ঘ ৬ মাস থেকে আমি এর প্রতিবাদ করে আসতেছি কিন্তু কোন সূরাহা পায়নি।
এসময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,আমি এখন শয্যা সাই তারপরেও এই অভিযোগখানা দিয়েছি কিন্তু কতটুকু ন্যায় বিচার পাবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এবিষয়ে জানতে ঠিকাদার কুতুবউদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে বলেন,পানির কোন ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি এবং কয়েকটি টিন শেড নিম্ন মানের লাগানো হয়েছে এটা সত্য তবে আমি বলেছি প্রয়োজনে টিন পাল্টিয়ে দেবো।
এসময় তিনি সরকারি বিল উত্তোলন করে নিয়েছেন বলেও প্রতিবেদক’কে জানিয়েছেন।অন্যান্য বিষয়গুলো তিনি এড়িয়ে যান। এনিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে সায়রার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন আমি কয়েকদিন হলো যোগ দিয়েছি, কথা হয়েছে বিষয়টি আমি গুরত্ব সহকারে দেখবো।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ