স্টাফ রিপোর্টার:
ধু-ধু বালুচরে দেশের সর্ববৃহৎ একটি শিমুল বাগান
সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলায় ফাগুনের আগমনে বিশাল এই শিমুল বাগানে ফুল ফুটেছে, প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে হাজারো দর্শকদের বিচরণ এই শিমুল বাগানে, ফাগুনের প্রথম দিনে ঋতুরাজ বসন্ত, সুর্যের সাথে তাল মিলিয়ে রক্তিম রঙে এখানে বসন্তে ফুল ফুটে গাছে গাছে হাজার হাজার লাল লাল শিমুল ফুল মানিগাও এর শিমুলবাগানে। দেশের সবচেয়ে বড় শিমুল বাগান সুনামগঞ্জের সীমান্ত ঘেষা ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত তাহিরপুর উপজেলায়। যেখানে একসাথে তিন হাজার গাছ ফুলে ফুলে ভরে ওঠেছে। যা পর্যটকদের মনে, ফাগুনের আগুন ঝরানো হিল্লোল দোঁলা দিয়ে বলছে, শিমুল বনের রক্তরাঙ্গা সৌন্দর্য দেখতে হলে সেখানে যাওয়ার উপযুক্ত সময় “এখনই”, শিমুলবাগ” প্রকৃতিপ্রেমীদের চোখের তৃষ্ণা মেটাতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে যেটির অবস্থান। রূপবতী যাদুকাঁটা নদী আর মেঘালয়ের ঠিক মধ্যখানে ধু-ধু বালুচরে দেশের সর্ববৃহৎ একটি শিমুল বাগান। ফাগুনের অরুণ আলোয় ফোটে উঠা শিমুল বাগানের এই টুকটুকে লাল ফুলগুলো দেখতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন শত শত পর্যটকরা। গত ২০০০ সালে ২৪০০ শতক জায়গায় সমান ১৪ ফুট দুরত্বে ৩ হাজার শিমুল বাগানের চাড়া গাছ লাগিয়ে বানানটি প্রতিষ্ঠা করেন তাহিরপুরের কৃতি সন্তান প্রয়াত জয়নাল আবেদীন। তার অবর্তমানে তার সন্তানরা এই বাগানটির পরিচর্চা করেন। আপনি এই এরিয়াতে গিয়ে যেখানে আপনি দাঁড়ান না কেন দেখবেন আপনি বনের মধ্য ভাগে। তবে এই বাগানের আশপাশে নেই একটু ভাল মানের হোটেল ও বিশ্রামের জায়গা,ভাল মানের রেস্টুরেন্ট যাতায়াতের নানা অসুবিধা,পর্যটন মন্ত্রনালয়ের সুদৃষ্টি কামনাসহ নানান অসুবিধার কথা জানিয়ে মনোমুগ্ধকর এই প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্যরে কথা তুলে ধরলেন পর্যটকপ্রেমিরা। দিনদিন দর্শনার্থী বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন, বিশ্রামাগারসহ নানান পরিকল্পনার কথা জানালেন বাগানের এই স্বত্তাধিকার,
মোছা. সেলিনা আবেদীন, বাগানের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত হাজী জয়নাল আবেদীনের কন্য ও (নির্বাচিত) সাবেক সদস্য জেলা পরিষদ, সুনামগঞ্জ।