স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের নির্দেশ:- বিএনপিকে সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে, এবং আগামী নির্বাচন অতীতের সব নির্বাচনের থেকে আসন্ন নির্বাচন কঠিন হবে বলে মনে করছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাই দেশের মানুষের মন জয় করতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রতি কঠিন নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন বারংবার।
বিএনপি-র নাম ভাঙ্গিয়ে যারা সন্ত্রাস দখলদারিত্ব চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে বারবার হুঁশিয়ারি দিয়ে চলছেন তারেক রহমান, এ পর্যন্ত অনেকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নিতে দেখা গেছে তারেক রহমান কে। রাজধানী সহ সারা বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নমনীয়তায় ভয়াবহ ভাবে বেড়ে গেছে চাঁদাবাজি দখল বাজি লুটতরাজ। সন্ত্রাস চাঁদাবাজ দখলদাররা নিজের রূপ পাল্টে দল পাল্টে আবার সক্রিয় হয়ে পড়েছে। তালিকাধারি সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে যার যার এলাকায়, গড়ে তুলছে কিশোর গ্যাং, তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে মাদক ও অস্ত্র, যার ফলশ্রুতিতে প্রতিদিনই ঘটছে হতাহতের ঘটনা। কিছু কিছু পুরানো সন্ত্রাসীরা নতুন রূপে আবির্ভূত হয়েছে। দিন দিন দল ভারি করে স্থানীয় সকল ব্যবসা-বাণিজ্যে চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের কালো থাবা বসিয়েছে। এদের বেশির ভাগই দেশের জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র সুনাম নষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে।
সকল সংগঠনের মাদার সংগঠন এফবিসিসিআই এখন ভাতের হোটেল। ৫ ই আগস্ট এর পর থেকে স্বৈরাচারী সরকারের দোসরা পালিয়ে যাওয়ার পরে এফবিসিসিআই তে উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন কিছু সদস্যবিহীন লোকজন । উক্ত সুনামধন্য সংগঠনের অফিসে গিয়ে সদস্য না হলেও বিএনপির ক্ষমতার দাপটে দেখিয়ে জাকির হোসেন নয়ন ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন লোককে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে । বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যগণ চাঁদার টাকা পরিশোধ করতে গেলে চাঁদার রিসিট না দিয়ে চলে যেতে বলেন। তাদের মনগড়া ভাবে তাদের পরিচালিত গ্রুপের সদস্য করে নেবেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ৫ আগষ্টের পর এফবিসিসিআইতে একটি সংস্কার কমিটি গঠন করা হয়েছে ওই কমিটিতে অনেকেই নেই তারা প্রতিদিন এফবিসিসিআইর অফিসে চলছে লাল নীল নকশা আর আড্ডা। সংস্কারের নামে চলছে ভিন্ন ভিন্ন বাণিজ্য ।সাইদুর রহমান খান সাঈদ নামে এক ব্যক্তি এফবিসিসিআই মেম্বার না হলেও তার দাপটে সাধারণ সদস্যরা অতিষ্ঠ হয়েছে বলে জানা যায়। সাইদুর রহমান রহমান খান বলেন তারেক রহমানের নির্দেশে এফবিসিসিআই আমরা দখল করেছি আরো জানান তারেক রহমানের সঙ্গে আমার কথা হয় ভিডিও কলে। সাধারণ সংগঠনের সদস্যদের প্রশ্ন উক্ত সাইদুর রহমান খান কি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ আছে কি ? ৫ই আগস্টের পরে বাস্তবায়ন কমিটি করে তাদের মন গড়া, কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রশাসককে নিয়োগ দেওয়া হলেও প্রশাসককে চাপের মুখে রাখেন। জাকির হোসেন নয়ন, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী খোকন , মামুন, সহ আরো অনেকেই এই ভাতের হোটেল পরিচালনা করে আসিতেছে এ ব্যাপারে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে সহ-সভাপতি রুম গুলোকে চাউল ডাল ও পিয়াজ মজুদ রাখা হয়েছে। আরো দেখা গিয়েছে জাকির হোসেন নয়ন এফবিসিসিআই জনবল ও অর্থ ব্যবহার করে নিজের প্রচারণার লিফলেট বিতরণ করাচ্ছেন এবং বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়াচ্ছেন যে বিএনপির হাই কমান্ডের সাথে আমার নিয়মিত যোগাযোগ হয় এবং তাদের নির্দেশেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি । এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিব মহোদয় কে দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন বিভিন্ন সংগঠনের পরিচালক এবং সদস্য বৃন্দ । তারাএই ভাতের হোটেল বন্ধসহ বহিরাগতদের উচ্ছেদের দাবি করে বলেছেন এতে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।