হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রভাবশালী ৫ নেতা নাকানি-চুবানি খেয়েছেন।পাঁচজন ধরাশায়ী হয়েছেন বিএনপির বহিস্কৃত নেতা মুজিবুর রহমান শেফুর কাছে। অতীতে নবীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামীলীগের এমন ভরাডুবি আর কখনো হয়নি। এনিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা ব্যাপী গত দুদিন যাবত চলছে নানা চুলছেড়া বিশ্লেষণ। এমন ভরাডুবির পেছনে কারণ হিসেবে কেউ কেউ মনে করছেন আওয়ামীলীগের দলীয় কোন্দল। আবার কেউ কেউ মনে করছেন এলাকা ভিত্তিক আঞ্চলিকতার কারণ এবং দলীয় ভোট ভাগাভাগির কারণে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন।
আর আওয়ামীলীগ শিবিরের বাইরে বিএনপির বহিস্কৃত যুগ্ন আহবায়ক মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফুই ছিলেন একমাত্র প্রার্থী। তাই তার ভোটে ভাগের প্রভাব পড়েনি। ফলে অনেকটা সহজেই বিজয় পেয়ে গেছেন তিনি।নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতারা মনে করেন যদি তাদের দলের একক প্রার্থী হতেন তাহলে বিএনপি প্রার্থী তাদের সাথে পাত্তাই পেতন না বিএনপি প্রার্থী আওয়ামীলীগের প্রার্থীর কাছে ধরাশায়ী হতো। এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোস্তাক আহমদ মিলু বলেন-উপজেলা নির্বাচনে তাদের একাধিক প্রার্থী থাকার কারণেই মুলত তাদের বিজয় হয়নি। কারন তাদের ভোট কয়েক ভাগে ভাগ হয়েছে। এক অথবা দুজন প্রার্থীও যদি নির্বাচনে অংশ গ্রহন নিতেন তাহলে তাদের বিজয় শতভাগ নিশ্চিত সেটি প্রমান হয়েছে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলের প্রার্থী সংখ্যা কম ছিল,তাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সাইফুল জাহান চৌধুরী অনেক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন।
ফলাফল বিশ্লেষনে দেখা গেছে- নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফু চিংড়ি মাছ প্রতিকে ২৫ হাজার ১৫৯ ভোট পেয়েছেন।তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক আলহাজ্ব ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম। তিনি ঘোড়া প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ২১ হাজার ৭৫১ ভোট,জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ মোটরসাইকেল প্রতিকে পেয়েছেন ২০ হাজার ৫৬৩ ভোট,জেলা আওয়ামীলীহোর অপর সাংগঠনিক সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল দোয়াত কলম প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৪২ ভোট,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও ১১ নং গজনাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল হেলিকপ্টার প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৪৭ ভোট, ও জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ বুরহান উদ্দিন টৌধুরী আনারস প্রতিকে পেয়েছেন ৩ হাজা ৩৭৬ ভোট।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ