হবিগঞ্জ থেকে জেলা প্রতিনিধিঃ
সরকার কর্তৃক সড়ক ও কালবার্ড বন্ধ করে নতুন ভিট তৈরী করেছে , বারইকান্দি উত্তর পাড়ের আলাউর রাহমান গংরা। বন্ধ হয়ে গেছে পানি নিস্কাশনের পথ। যারফলে বারইকান্দি গ্রামের উত্তর পাড়ের জামে মসজিদ বর্ষাকালে পানিতে ডুবে যেতে পারে। বন্ধ হয়ে যাবে মুসল্লিদের ইবাদত খানা । জানা যায়, নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের হালিতলা বারইকান্দি গ্রামের উত্তর পাড়ের মৃত আব্দুল আহাদের ছেলে আলাউর রাহমান, আলাউরের ছোট ভাই আতাউর রহমান, ও তাহাদের চাচা আনছর আলী, ও আজিম উদ্দিন , তাদেরকে এলাকার কিছু প্রভাবশালী মহলরা আড়াল থেকে উস্কানি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভুমি) অফিসার বরাবরে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে কিছমত আলী গংরা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভুৃমি) অফিসার সরজমিনে তদন্ত করে সরকার কর্তৃক নির্মান করা রাস্তা উদ্ধার করে সীম সীমানা ঠিক করে দেন। একদিনের মাথায় প্রতিপক্ষ আলাউর গংরা উপজেলা সহকারী কমিশনারের উদ্ধার করা রাস্তার
সীম সীমানার কোটা উপরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সরকারী সড়ক উদ্ধার করার পর অমান্য করে পূনরায় জোর পূর্বক সীম সীমানার কোটা ফেলে দেওয়া হয় । সরকারী আইন অমান্যকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছেন এলাকার সাধারন জনগণ ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হালিতলা বারইকান্দি উত্তর পাড়ের সাধারন জনগণ চলাচলের ঐ রাস্তা দিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত চলাচল করে আসছেন। বিগত ২০১৫ – ২০১৬ অর্থ বছরের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্হান
কর্মসূচীর আওতায় অর্থের অধিবাচন পত্র, প্রকল্প নং ০৪,প্রকল্পের নাম ঃ বারইকান্দি উত্তর পাড় গ্রামের নতুন ব্রীজের গোড়া থেকে পরন খালির খাল পর্যন্ত পূনঃ নির্মান করা হয় , সাজিদুর রহমান মেম্বার থাকাকালীন সময়ে উল্লেখিত সড়কটি উভয় মালিকের সম্মতিক্রমে সরকারীভাবে রাস্তা নির্মান করা হয় , এবং পানি নিস্কাশনের জন্য সরকার কর্তৃক একটি কালবার্ড ও নির্মান করা হয় । সরকারী রাস্তা নামকরন হওয়ার পর ও আইনের তোওয়াক্কা না করে জোর পূর্বক সরকারী রাস্তা বন্ধ করে ভিট নির্মান করছে প্রভাব শালী মহল। সুত্রে প্রকাশ, হালিতলা বারইকান্দি গ্রামের উত্তর পাড় মহল্লার জন সাধারন রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে নবীগঞ্জল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। সরকার কর্তৃক রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে গ্রামে টানটান অবস্থা বিরাজ করছে, আশংকা করা হচ্ছে , যে কোনো সময় সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।