আরিফুল ( কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীরা ৪৩ মাসের বকেয়া বেতন প্রায় আট কোটি টাকা আদায়ের দাবীতে পৌরসভায় তালা ঝুলিয়ে কর্ম বিরতি পালন করছেন।
সোমবার সকাল ১০ টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমপক্ষে একমাসের বেতন পরিশোধ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এ দিকে পৌরসভার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা ভোগী জনগণ।
জানা যায়, কুমারখালী পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন না দিয়ে সম্প্রতি বদলীকৃত প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামান এর গ্র্যাচুইটি ভাতা প্রদানের জন্য ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা প্রদানের চেক প্রস্তুত করা হলে পৌরসভার হিসাব রক্ষক ও সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে তার কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে পৌরসভার প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। ইতিপূর্বে পৌরসভায় কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের গ্র্যাচুইটি ভাতা প্রদান না করা হলেও ওয়াহিদুজ্জামানের ক্ষেত্রে এমন বৈষম্য সৃষ্টি করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন পৌরসভায় কর্মরত সকলে।
কুমারখালী পৌর কর্মচারী সংসদের সভাপতি ও পৌরসভার প্রধান সহকারী রাজু আহমেদ বলেন, ৫২ জন কর্মচারীর ৪৩ মাসের প্রায় আট কোটি টাকা বেতন বকেয়া। তা পরিশোধের কোনো উদ্যোগ নেই। অথচ সম্প্রতি বদলিকৃত প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামানের প্রায় ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা গ্র্যাচুইটি ভাতা পরিশোধের জন্য চেক প্রস্তুত করা হয়েছে। পৌরসভার ইতিহাসে কোনোদিন কারো গ্র্যাচুইটি ভাতা দেওয়ার ঘটনা নেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে কর্মবিরতি পালন করছি।
বদলিকৃত প্রকৌশলীর গ্র্যাচুইটি ভাতা বন্ধ এবং আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একমাসের বেতন পরিশোধ করা না হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ পৌর কর্মচারী সংসদের সহসভাপতি মনিরুজ্জামান টুটুল বলেন, বছরের পর বছর কর্মচারীদের বেতন বকেয়া। তারা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। অথচ কর্মকর্তারা বেতন ভাতা নিয়ে উৎসব করছেন। সুতরাং একই কার্যালয়ে দুই নিয়ম চলতে পারেনা। এই বৈষম্য দুর করে দ্রুত বেতন পরিশোধের দাবি জানান তিনি ।
কুমারখালী পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম জানান, অনেক আগে থেকেই কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সকলের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানান।
ক্যাপশন : ৮ কোটি টাকা বেতন বকেয়া থাকায় আন্দোলনে পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারী। পৌরসভার প্রধান ফটকে তালা। কুমারখালী পৌরসভা থেকে বেলা এগারটার দিকে তোলা ছবি।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ