মোঃশাহেদুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার।
কক্সবাজারের হোটেল মোটেল জোনের পতিতা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে ৬ জন শীর্ষ পতিতার দালাল।খদ্দের চাহিদা মতো মাদকও পৌঁছে দেয়া হয় অল্পসময়ের মধ্যে।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে একযুক ধরে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে পতিতা ব্যবসা ও মাদক সরবরাহ।
শীর্ষ ৬ পতিতার দালালরা হলেন,বাঁশখালী থেকে এসে সদর উপজেলার দক্ষিণ হাজীপাড়ায় বসবাসকারী সাদেক হোসেন,কটেজ জোনের শীর্ষ পতিতার দালাল আসিফ,ঢাকা থেকে এসে দক্ষিণ হাজাীপাড়ায় ভাড়াবাসায় বসবাসকারী শাওন,মহেশখালীর টমটম চালক ফারুক,চৌফলদন্ডীর টোকাই মনছুর ও রুবেল।
সাদেক হোসেন প্রকাশ পতিতার দালাল সাদেক বললেই একনামে পরিচিত। দুইযুগেরও আগে বাঁশখালী থেকে কক্সবাজার শহরে এসে টার্মিনাল একটি খবার হোটেলে কারিগর হিসাবে চারকি নেন পাশাপাশি মেয়ে নিয়ে পতিতা ব্যবসা শুরু করেন কিছু দিন গেলে দক্ষিণ হাজীপাড়ার এক মেয়েকে বিয়ে করে বসবাস শুরু করে।তারপর থেকে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরি করে পতিতা ব্যবসা শুরু করে সাদেক। বাংলা বাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় ঘরভাড়া নিয়ে রোহিঙ্গা নারীদের নিয়ে পতিতা ব্যবসা করে হাতিয়ে নিচ্ছে পর্যটকের লাখ লাখ টাকা।
সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে শুরু হয় সিএনজি যুকে পতিতা পাঠানোর কাজ।স্হানীয় ও কক্সবাজার আগত পর্যটকরাই তার মুল টার্গেট।মোবাইল ফোনের ইমু সফটওয়্যারের মাধ্যমে খদ্দের ইমুতে নারীদের ছবি পাঠানো হয়,সেখান থেকে যে নারীর ছবি পছন্দ হবে তার দরদাম ঠিক করে নির্দিষ্ট সিএনজি করে পাঠানো হয় হোটেলে।পাশাপাশি চাহিদামত পাঠানো হয় মাদকও।পতিতার দালাল সাদেক বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাবাসও করেছেন,তার বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
আরেক পতিতার দালাল আসিফ, সে পতিতার হাট নামে প্রসিদ্ধ কটেজ জোনের শীর্ষ পতিতার দালাল। কটেজ জোনের কম্পোর্ট কটেজে রোহিঙ্গা নারীসহ ১০/১৫ জন নারী নিয়ে জমজমাট পতিতা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মানবপাচার মামলা থাকলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। সন্ধ্যা নামলেই শুরু হয়ে যায় কটেজ জোনে আসিফ সিন্ডিকেটের তৎপরতা বিভিন্ন অলিগলিতে থাকে তার সিন্ডিকেটের লোকজন পুলিশ দেখলেই খবর দেয় আসিফ কে কটেজ জোনে পুলিশ প্রবেশ করার আগেই সরিয়ে নেন পতিতাদের।
ঢাকার বাসিন্দা পতিতা ব্যবসায়ী শাওন,দীর্ঘদিন আগে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে এসে দক্ষিণ হাজীপাড়ায় ভাড়াবাসা নিয়ে বসবাস শুরু করে। সে খরুলিয়া, আলিরজাহাল,টেকপাড়াসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে রোহিঙ্গা নারীসহ ১০/১২ জন নারী নিয়ে পতিতা ব্যবসা চালিয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। কটেজ জোনে সাংবাদিক গেলে তাদের কে পতিতা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টাও করে অনেকবার।
মহেশখালীর ফারুক ওরফে ডেবিট ফারুক,সে মহেশখালী থেকে কক্সবাজার শহরে এসে প্রথমে তরমুজ বিক্রি করতো। পরে টমটম চালানোর সুবাদে হোটেল মোটেল জোনের পতিতা ব্যবসায়ীদের পরিচয় হয়।তারপর থেকে নেমে পড়ে পতিতা ব্যবসায়।কলাতলীর চন্দ্রিমামাঠ,বাসটার্মিনাল ও কালুর দোকানসহ বিভিন্ন এলাকায় বাসাভাড়া নিয়ে পতিতা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যা হলে তার নির্দিষ্ট সিএনজি করে বিভিন্ন হোটেলে খদ্দের কাছে নারী পাচার করে অল্প সময়ে বনে গেছে লাখ লাখ টাকার মালিক।
চৌফলদন্ডীর মনছুর,চেহারা দেখলে মনে হবে কতই নিস্পাপ, কিন্তু এই নিষ্পাপ চেহারার পিছনে রয়েছে ভয়ংকর একরূপ।মনছুর মোবাইলে বিভিন্ন মেয়েদের প্রথমে প্রমের ফাঁদে ফেলে পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হোটেলে এনে মোটা অংকের টাকা নিয়ে খদ্দের কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে সে মেয়েটি কোন উপায় না পেয়ে তার কাছে থাকতে বাধ্য হয়ে যায়। এভাবে চলে দালাল মনছুরের পতিতা ব্যবসা।
একইভাবে পতিতার দালাল রুবেল শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাসাভাড়া নিয়ে রোহিঙ্গা নারীদের নিয়ে পতিতা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।দীর্ঘদিন ধরে পতিতা ব্যবসা চালিয়ে গেলেও রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াস খান বলেন,খোঁজখবর নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ