মোঃ জামাল হোসেন
স্টাফ রিপোর্টার।
বরগুনার পাথরঘাটায় বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের জলিল চৌধুরী নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সৌদি আরবের কারাগার থেকে সদ্য মুক্তি পাওয়া পাথরঘাটা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিজানুর রহমান নামের এক ভুক্তভোগী দাবিদারসহ ছয় পরিবার সংবাদ সম্মেলেন করে এই অভিযোগ তুলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন একই ওয়ার্ডের এমন আরো পাঁচজনের অভিভাবকরা। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পাথরঘাটা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, অভাবের সংসারে সচ্ছলতা আনতে জলিল চৌধুরীর মিষ্টি কথায় ভুলে জনপ্রতি পাঁচ-ছয় লাখ টাকা করে তাঁর হাতে তুলে দেন তাঁরা।
সব টাকাই ধার করে আনা এবং ব্যাংক ও এনজিও থেকে সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু সৌদি আরবে পাঠানোর পর অঙ্গীকার অনুযায়ী তাঁদের কাজ দেওয়া হয়নি।
বৈধ কাগজপত্র না থাকায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর সৌদি আরবের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে আসা মিজানুর রহমান অভিযোগে করেন, ভালো কাজ ও দুই বছরের ইকামা দেওয়ার অঙ্গীকার ভঙ্গ করে তাঁকে তিন দফা দালালের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। বিষয়টি জলিলকে জানালে তিনি উল্টো তাঁকে হুমকি দিয়ে আসছেন।
তিনি অবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর জন্য অভিযুক্ত জলিলকে দেওয়া টাকা ফেরত এবং অন্য যাঁদের বিদেশে পাঠিয়েছেন, অঙ্গীকার অনুযায়ী তাঁদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে দাবি জানান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আ. জলিল চৌধুরী বিদেশ পাঠানোর কথা স্বীকার করলেও তাঁদের মানবেতর জীবনযাপনের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি সরকারের নিয়ম মেনেই তাঁদের বিদেশ পাঠিয়েছি। শর্ত অনুযায়ী তাঁদের ভিসা ও কাজ দিয়েছি। কাজ না করে যদি দেশে চলে আসেন এর দায়ভার আমি নেব না।