এ এ রানা:
দক্ষিণ সুরমার চিহ্নিত অপরাধ জগত হিসেবে পরিচিত ফেরিঘাট আস্তানা থেকে গত ৮ ডিসেম্বর রাতে ডিবির অভিযানে শীর্ষ জুয়ারী হারুনকে আটক করা হলেও আটকের ১৮ ঘন্টার মধ্যেই জামিনে মুক্ত হয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে জুয়ার রমরমা প্রতারণা দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দীর্ঘদিন থেকে জুয়ারীদের বিরুদ্ধে তালাশ টিভি ডট লাইভ ও সাপ্তাহিক হলি সিলেট ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। সংবাদ প্রকাশের পর বিভিন্ন সময় পুলিশ, ডিবি অভিযান পরিচালনা করে জুয়ারীদের আটক করলেও সব সময়ই শীর্ষ জুয়ারীরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। অবশেষে ডিবির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এর নির্দেশে ডিবি পুলিশ গত ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে দক্ষিণ সুরমার ফেরিঘাট আস্তানা থেকে শীর্ষ জুয়ারী হারুনসহ ৮ জুয়ারীকে আটক করে দক্ষিন সুরমা থানায় হস্তান্তর করে। হারুনকে আটকের পর স্থানীয়রা স্বস্তি প্রকাশ করে। পরে ৯ ডিসেম্বর শনিবার জুয়ারী হারুন জামিনে বেরিয়ে আসে, বের হয়েই আবার দক্ষিণ সুরমার কদমতলী ফাড়ি ও থানার সহযোগিতায় পুরোনো জুয়ার ব্যবসা দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাইনা তাকে আটকের বিষয়ে তালাশ টিভি ডট লাইভ ও সাপ্তাহিক হলি সিলেটে সংবাদ প্রকাশ করায় তালাশের সাংবাদিক হাসান জুলহাস এবং হলি সিলেটের স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল আলিম রানাকে মোবাইল ফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হারুনের বিশ্বস্থ লোকজন এই প্রতিবেদককে বলেন ডিবির অভিযানে ১০জন আটক করেছে আপনারা ৮জন লিখলেন কেন? ডিবির অভিযানে জুয়ার সরঞ্জামসহ অনেক কিছু পেয়েছে। হারুনের আস্তানায় ওয়ান টেন খেলা চলে। এখানে প্রতিদিন কোটি টাকার খেলা হয়। জুয়ার পাশাপাশি চলে মরণ ব্যধি মাদকের ব্যবসা ও সেবন।
রাজধানী ঢাকার ক্যাসিনো বন্ধ হলেও সিলেটের জুয়ার ব্যবসা বন্ধ করতে পারছেনা দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা বলেন পুলিশ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, প্রভাবশালী ব্যাক্তি, রাজনৈতিক নেতাদের শেল্টারে চলে হারুনের জুয়ার প্রতারণা ব্যবসা। একমাত্র RABই পারে জুয়ারী হারুনের অপকর্ম বন্ধ করতে। তারা বলেন ফাড়ি ও থানা পাশাপাশি থাকার পরও রহস্যজনক কারণে অভিযান চালায়না, অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ।
এর পূর্বে গত ১৪ আগষ্ট লিজা নামের এক প্রমিলা সাংবাদিক ফেরিঘাট এলাকায় হারুনের জুয়ার আস্তানার ছবি তুলতে গেলে তাকে হারুনের নেতৃত্বে শারীরিক নির্যাতন করে ক্যমেরা ভেঙে ফেলে এবং তাকে ধর্ষন ও হত্যার হুমকি দেয়। পরে ঐ প্রমিলা সাংবাদিক সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন, জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় গুরুত্বসহকারে সংবাদ প্রকাশ করে।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ