আরিফুল (কুষ্টিয়া)প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার খোকসা থানাধীন সিংঘরিয়া গ্রামের আজাদ মোল্লা (৪৫), পিতা- মোঃ বক্কার মোল্লা, একজন পেশাদার ভ্যানচালক। গত ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, রাত ৮টার দিকে ভ্যান চালানোর উদ্দেশ্যে বিলজানী এলাকায় রওনা হন তিনি। তবে, পরদিন সকালে বাড়ি না ফেরায় তার আত্মীয়-স্বজন উদ্বিগ্ন হয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে আজাদ মোল্লার সন্ধান না পেয়ে তার মা সালেহা খাতুন ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে খোকসা থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন (জিডি নং-৩৭, তারিখ-০১-০২-২০২৫)। পরবর্তীতে, ২ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫:৩০টার দিকে খোকসা থানাধীন হেলালপুর গ্রামের খোকসা মডেল টাউন আবাসিক প্লটের উত্তর কোণে বালু চাপা অবস্থায় আজাদ মোল্লার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের মুখমণ্ডল ও মাথা একটি জ্যাকেট দিয়ে মোড়ানো ছিল। এ ঘটনায় নিহতের মা সালেহা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে খোকসা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-২, তারিখ-২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড)। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার ২ আসামি, ভ্যান উদ্ধার মামলাটির তদন্তে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় এবং পারিপার্শ্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ২ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে ভিকটিমের ব্যবহৃত ভ্যানটিও উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন— ১। মোঃ সোহাগ হোসেন (২৪), পিতা-মোঃ ইন্তাজ হোসেন ২। মোঃ সাগর হোসেন (২৫), পিতা-মোঃ হাসান শেখ উভয়ের বাড়ি খোকসা থানাধীন হেলালপুর গ্রামে। পুলিশ জানায়, আসামি মোঃ সোহাগ হোসেনকে রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানাধীন নিভাইনাথপুর (মাছপাড়া সংলগ্ন) এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। অপর আসামি মোঃ সাগর হোসেনকে খোকসা থানাধীন মোড়াগাছা তিনরাস্তার মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মোঃ সোহাগ হোসেন হত্যার ঘটনা স্বীকার করে এবং তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কুষ্টিয়ার মিরপুর থানাধীন রাজনগর বাজার এলাকা থেকে নিহত আজাদ মোল্লার ব্যবহৃত ভ্যানটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিরা আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।