মোঃ নুহু ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার:

২৬ শে মার্চ পটুয়াখালী জেলা গলাচিপায় গ্রামের দরিদ্র নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে উৎপাদনশীল ও সম্ভাবনাময় কর্মের সুযোগ গ্রহণে নারীর সামর্থ্য উন্নয়ন স্বপ্ন-২য় পর্যায় প্রকল্পের স্বপ্ন উপকারভোগী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নে মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় লটারীর মাধ্যমে শুরু হয় এ যাচাই বাছাই নির্বাচন। গোলখালী ইউনিয়নের ৩টি বুথে ৯টি ওয়ার্ডের ৪ জন করে মোট ৩৭ জন দরিদ্র নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে নির্বাচিত করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোলখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুশীলন গলাচিপা উপজেলার পিসি মোসা. মারুফা সুলতানা, পানপট্টি ইউনিয়নের ওয়ার্কার মোসা. মুক্তা, গোলখালী ইউনিয়নের ওয়ার্কার মোসা. মানসুরা, চরবিশ ইউনিয়নের ওয়ার্কার মো. আমিনুল ইসলাম অনিক, গলাচিপা সদর ইউনিয়নের ওয়ার্কার মোসা. সালমা বেগম, গোলখালী ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের মেম্বর, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর ৩ জন সহ সাংবাদিক ও স্থানীয় সুশীল সমাজ। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে মো. নাসির উদ্দিন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ফলে দেশের উন্নয়নে নারীরা অবদান রাখছে। নারীদেরকে স্বাভলম্বী করার সুযোগ করে দিচ্ছে সরকার। উৎপাদনশীল ও সম্ভাবনাময় কর্মের সুযোগ গ্রহণে নারীর সামর্থ্য উন্নয়ন স্বপ্ন-২য় পর্যায় প্রকল্প বিষয়ে বিশেষ অতিথি সুশীলন গলাচিপা উপজেলার পিসি মোসা. মারুফা সুলতানা বলেন, স্বপ্ন প্রকল্প, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প। এই প্রকল্পের উপকারভোগী শতভাগই হত দরিদ্র নারী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা করেছিলেন ঘরে ঘরে চাকুরী প্রদান করবেন। এই প্রকল্পটি শতভাগই হত দরিদ্র নারীদের চাকুরী প্রদানের প্রকল্প। উপকারভোগী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় “জিরো টলারেন্স” নীতি অনুসরণ করা হয়েছে। স্বপ্ন-২য় পর্যায় প্রকল্প সফলতার সাথে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং কাঙ্খিত ফলাফল অর্জিত হয়েছে। গোলখালী ইউনিয়নে ৯টি ওয়ার্ড থেকে ৪ জন করে মোট ৩৭ জন উপকারভোগী নির্বাচিত করা হয়েছে। যাদের সবাই হত দরিদ্র, অসহায়, বিধবা নারী। এরা উন্নয়নমুখী কাজ করে অত্র ইউনিয়নের সুনাম বয়ে আনবে এবং সবার জন্য প্রেরণা হয়ে উঠবে বলে আমি মনে করেছি