কলমে: প্রিয়াংকা নিয়োগী,❤
পুন্ডিবাড়ী,ভারত।
নানারকম রস,ভাব,তাল,ব্যন্জনাদি যুক্ত লীলাবতি অঙ্গভঙ্গিকে নৃত্য বলা হয়।
তালকে আবার সমপদী ও বিষমপদী ছন্দ,
দুভাগে ভাগ করা হয়।
তালের গতিকে লয় বলা হয়।
পায়ের আঘাত দ্বারা সৃষ্ট বোলকে,
তৎকার বলা হয়,
তালের টেকার প্রথম মাত্রার প্রথম বোলকে “সম” বলা হয়,
কোনো ছোটো বোল সম থেকে শুরু করে,
তিনবার ঘুরে এসে শেষ করাকে তেহাই বলা হয়।
ভিন্ন ভিন্ন লয় ও তেহাই যুক্ত বোলকে তোড়া বলা হয়।
হাতের নানারকম সাংকেতিক চিহ্ন,
তা মুদ্রা নামে পরিচিত।
এই মুদ্রা সংযুক্ত মুদ্রা ও অসংযুক্ত মুদ্রা
দু ভাগে ভাগিত।
“কথক,ভারত নাট্যম,ওড়িসি,কুচিপুড়ি,
মণিপুড়ি”
এজাতীয় নৃত্য শাস্রীয় নৃত্য নামে পরিচিত।
আর লোকালয়ের নৃত্যকে লোক নৃত্য নামে আখ্যায়িত।
একেকধরনের নৃত্য একেক নামে পরিচিত।
নৃত্যের শুরুতে শিখতে হয় প্রথমে
প্রাথমিক এক, প্রাথমিক দুই,প্রাথমিক তিন পযর্ন্ত।
এর পর আসে প্রথম বর্ষ থেকে পঞ্চম বর্ষ পর্যন্ত।
এই পঞ্চম বর্ষ পাস করাকে বলে “বিশারদ”।
তারপর ষষ্ঠ বর্ষ থেকে সপ্তম বর্ষকে বলা হয়,
নৃত্যের মাস্টার ডিগ্রী বর্ষ।
এই ডিগ্রী যেমন প্রত্যক্ষভাবে শিক্ষাকেন্দ্র থেকে গ্রহণ করা যায়,
তেমনি দূরশিক্ষার মাধ্যমেও করা যায়।
তারপর করা যায় “নৃত্যে
ডক্টর অফ ফিলোসফি”।
যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী
বিদ্যালয়,বি.এড কলেজ,ইউনিভার্সিটিতে
নৃত্যের শিক্ষকতা করা যায়,
তেমনি বাড়িতেও নৃত্যের বিদ্যালয় স্হাপন করা যায়।
যদি শেখা যায় নৃত্য,
তা হতে পারে উপাজর্নের রাস্তা অন্যতম।
মন যখন ভালো থাকে,
আনন্দে মন এমনি নাচে।
জীবনে খুশিতে থাকার
অন্যতম হাতিয়ারে,
জীবনের আনন্দের উচ্ছলতায়
আসে নাচের ইচ্ছে,
উৎসবে মাতি আমরা নৃত্যের মাধ্যমে।