কালিগঞ্জ (ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের মহেশপুরে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি অনুমতি ছাড়াই প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই চলছে ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসব।
উপজেলার বিভিন্ন এলাাকায় মাটি কাটার এ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ব কিছুতেই যেন থামছে না। পান্তাপাড়া ইউপির ঘুগরী গ্রামের কুরবান গাজি নিজেকে এমপির আত্নীয় পরিচয় দিয়ে দিনে-রাতে চালিয়ে যাচ্ছেন ফসলি জমি ধংশো করে মাটি কাটার কাজ। কুরবান গাজি মহেশপুরের বিভিন্ন ইটের ভাটা ও গ্রামে এ মাটি বিক্রি করছেন বলে এলাকাবাসী জানান। একই এলাকার সুমন হোসেন স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে তার মাটির ব্যবসা। ফসলি জমি নষ্ট করে মাঠের মধ্যে পুকুর খননের কারণে অবাদি জমির পরিমান কমে যাছে। অন্যদিকে মাটি বহনের কজে ব্যবহৃত ট্যাক্টরের চলাচলের কারণে রাস্তা কাঁদা মাটি পরে সড়ক দূর্ঘটনাসহ সরকারের লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত গ্রামীন আধাঁপাকা ও পাঁকা সড়ক গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।মহেশপুর থেকে সস্তা সড়কের রাস্তার পাশেই নাটিমা ইউপি পরিষদের নাকের ডগায় অবৈধ্য ভাবে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ একটি সিন্ডিকে মাটি কাটলেও তা যেনো,দেখার কেউ নেই। মাটিবাহী অবৈধ্য ট্যাক্টরের চলাচলের ফলে সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে সদ্যনির্মিত সড়কটি কাঁদার সড়কে পরিনত হয়েছে।
পথচারী বিপ্লব,রাশেদসহ একাধিক ব্যক্তিরা অভিযোগ করে বলেন, পাচঁমাথার জুয়েল ভাটা থেকে সস্তা বাজার পর্যন্ত রাস্তা দিয়ে মটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার কোন কায়দা নেই। কাঁদায় চাকা স্লিপ করে দূর্ঘটনা ঘটছে। পাঁকা রাস্তাটি কাঁদা রাস্তা পরিনত হয়ে গেছে। তারা আরও বলেন, প্রশাসনিক ব্যক্তিদের কাছে মানুষের জীবনের চেয়ে টাকার মূল্যে অনেক বেশি, সেজন্য তারা এমন কাজে অনুমতি দিয়ে টাকা আয় করে। মাঠের কয়েকজন জমির মালিক জানান, কুরবান গাজি জমির শ্রেনী পরিবর্তন না করে কিভাবে ধানি জমির বিশাল অংশো জুরে মাঠের মধ্যে পুকুর খনন করছে আর কিসের ক্ষমতা বলে এ কাজটি তিনি করছেন তা আমাদের জানার বিষয়।কুরবান গাজি জানান, দল ক্ষমতায় তাই কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা বা কারও কাছ থেকে অনুমোতির কোন প্রয়োজন হয়নি আমার। আপনারা পত্রিকায় লেখেন তাতে আমার কিছু যায় আসে না।
পান্তাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মস্তোফা মিয়া জানান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ শাওন স্যার মাটি কাটার সময় ভ্যাকু ম্যাশিনের ব্যাটারী খুলে নিয়ে গেছেন। আর
আমাকে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। আমি প্রতিবেদনটি স্যারের কাছে জমা দিয়েছি।
মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুজ্জামান জানান,মাটির উপরের স্তর বেশ
উর্বর, যা এই মাটি কাটা সিন্ডিকেটের ফলে ফসলি জমি বেশ হুমকির মুখে পড়ছে। আর এসব মাটি খোরদের কারনে আজ কৃষকের ফসলি জমি গুলো একদিকে কমতে শুরু করেছে অন্যদিকে হুমকির মধ্যে পড়েছে। আর মাটি কাটার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি প্রয়োজন অন্যথায় মাটি কাটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলেও জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ শাওন জানান, আমি এ সকল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে পদক্ষেপ নিলেও পরর্বতীতে প্রশাসনের নজর ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা করছে কয়েকটি সিন্ডিকেট। মাটি কাটা ও বালু উত্তলনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের
অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও তিনি জানান।