1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
অবশেষে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শীর্ষ জুয়ারী কাশেমসহ পুলিশের হাতে আটক-৬, এখনো বহাল নজরুল-জামাল-অন্তরের জুয়ার প্রতারণা, - Bikal barta
৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| শনিবার| রাত ৩:৪৮|

অবশেষে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শীর্ষ জুয়ারী কাশেমসহ পুলিশের হাতে আটক-৬, এখনো বহাল নজরুল-জামাল-অন্তরের জুয়ার প্রতারণা,

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় রবিবার, এপ্রিল ১৪, ২০২৪,
  • 221 জন দেখেছেন

 

সিলেট অফিস::
পুলিশ ইচ্ছা করলেই সকল অপরাধীদের গ্রেফতার করতে পারে তা আবারো প্রমানিত হলো। অবশেষে দক্ষিণ সুরমার শীর্ষ জুয়ারী কাশেমসহ পুলিশের হাতে আটক ৬ জুয়ারী। ১৩ এপ্রিল শনিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে দক্ষিণ সুরমা থানার অধীনস্থ কদমতলী ফাঁড়ির ইনচার্জের নেতৃত্বে পুলিশের একটি আভিযানিক দল ডিসি(দক্ষিণ)’র নির্দেশনায় এবং এসি (দক্ষিণ সুরমা ) ও অফিসার ইনচার্জ, দক্ষিণ সুরমা থানার সার্বিক তত্ত্বাবধানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জিঞ্জিরশাহ্ মাজার সংলগ্ন সাধুরবাজার কাশেমের সুরমা মহল আস্তানা থেকে পুলিশ ০৬ জুয়াড়িকে গ্রেফতার করে, আটককৃতরা হচ্ছে শীর্ষ জুয়ারী বোর্ড মালিক (১) আবুল কাশেম(৬০), পিতা-মৃত কালু মিয়া, সাং- সাধুর বাজার, থানা-দক্ষিণ সুরমা, জেলা-সিলেট। (২) জমির মিয়া (৩৫), পিতা-মৃত আপ্তাব মিয়া, সাং-বাসা নং- ডি/৩৪, দক্ষিণ ভার্থখলা, থানা-দক্ষিণ সুরমা, জেলা-সিলেট। (৩) সুজন আহমদ(২৪), পিতা-মৃত হাবিব আলী, সাং- জালালপুর, থানা- মোগলাবাজার, জেলা- সিলেট। (৪) কয়েস মিয়া (৩৬), পিতা- মো: সুরুজ আলী, সাং-কিসমত বিরাহীমপুর, থানা- মোগলাবাজার, জেলা- সিলেট। (৫) পাখি মিয়া(৪৭), পিতা- মৃত সৈয়দ মিয়া, সাং- বাসা নং ভি/২০৮, খোঁজারখলা, থানা-দক্ষিণ সুরমা, জেলা-সিলেট, এবং (৬) মো: আকিকুর রহমান মুন্না(৪৩), পিতা- মো: সাইদুর রহমান, সাং- বলদী, থানা-দক্ষিণ সুরমা, জেলা-সিলেট। কাশেম আটকের খবরে স্থানীয় সচেতন মহলে স্বস্থি ফিরে আসে। দেরিতে হলেও কাশেমকে আটক করায় ডিসি দক্ষিণ, সহকারী পুলিশ কমিশনার দক্ষিণ সুরমা থানা, অফিসার ইনচার্জ দক্ষিণ সুরমা এবং কদমতলী ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক দেবাংশু পালকে ধন্যবাদ জানান। নতুন আইসি যোগদানের পর থেকেই সিলেটের ক্রাইম জোন হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ সুরমার চিত্র পাল্টে যায়। এর আগে সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে দক্ষিণ ও উত্তর সুরমার সকল জুয়ার আস্তানায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে খেলার সামগ্রীসহ জুয়ারীদের গ্রেপ্তার করে অবৈধ জুয়ার প্রতারণা বন্ধ করে নগরবাসীর প্রশংসা কুরালেও, কয়েকটি জুয়ার আস্তানা বহাল থাকায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

দক্ষিণ সুরমার আরেক শীর্ষ জুয়ারী নজরুল নতুন রেলওয়ে স্টেশনের প্রবেশ মূখে জুয়ার আস্তানা স্থাপন করে মিথালী বাসের নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন থেকে অবৈধ জুয়ার প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। গত তিন মাসের মধ্যে একবারও পুলিশ বা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এই অবৈধ জুয়ার আস্তানায় কোন অভিযান চালায়নি। নজরুলের সেই জুয়ার আসরে গতকাল ১২ এপ্রিল শুক্রবার রাতে মিতালীর শ্রমিকরা মৌলভীবাজার স্টেন্ডের শ্রমিক শুকুরের ওপর হামলা করে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন এই জুয়ার আস্তানা বন্ধ না হলে যে কোন সময় অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সাধুর বাজার বাঁশ পালা মার্কেট মেতর পট্টিতে অন্তরের আস্তানা সেখানেও পুলিশ কোন অভিযান পরিচালনা করেনি।

রেলওয়ে হাসপাতাল ও মন্দিরের পাশে খাটো জামালের জুয়ার বোর্ড চলমান রয়েছে।

এছাড়াও সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কীন ব্রিজের নীচে মানিকের জুয়ার বোর্ড চলমান রয়েছে। সেই বোর্ডে গতকাল শুক্রবার রাতে উপ-পুলিশ কমিশনার দক্ষিণ এর দিক নির্দেশনায় দক্ষিণ সুরমা থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মোশাররফ হোসেন এবং অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসানের নেতৃত্বে অবৈধ জুয়ার বোর্ডে অভিযান চালিয়ে ভেঙ্গেদেয়া হয়। আজ ১৩ এপ্রিল শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় কীন ব্রিজেের নীচে মানিকের জুয়ার বোর্ডে আবারও পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলে বিশ্বস্থ একটি সূত্র জানিয়েছে।
তাই সচেতন মহলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে আশে-পাশের সকল জুয়ার আস্তানায় অভিযান হয়, কিন্ত নজরুল, অন্তর ও জামালের আস্তানায় কেন অভিযান হয়না?
এ ব্যপারে দক্ষিণ সুরমা থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মোশাররফ হোসেন মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন আমাদের অভিযান চলছে, আপনি আমাকে সঠিক তথ্যদেন অবশ্যই অভিযান হবে।

ঈদের দিন এবং শুক্রবার সরেজমিন ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কদমতী ফাড়ির নতুন আইসি দেবাংশু পাল আসার পর ফুটপাতসহ জুয়া ও মাদকের আস্তানা সাময়িক বন্ধ করেন এবং ঈদ উপলক্ষে ছিনতাই প্রতিরোধে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু ঈদের দিন দক্ষিণ সুরমায় যেন সেই চিরচেনা পুরোনো রুপ দেখা গেল। ডিবির সোর্স পরিচয়দানকারী সানী ও সোহাগ ডিবির উপ-পরিদর্শক জয়ন্তর নামে বখরা আদায় করে। তাদের প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় চলছে নতুন রেলওয়ে স্টেশনের প্রবেশ মূখে নজরুল, মেতর পট্টির অন্তর এবং রেলওয়ে হাসপাতাল ও মন্দির এলাকার জামালের জুয়ার রমরমা প্রতারণা। তাদের বিরুদ্ধে দৈনিক ভিত্তিতে জুয়ার বোর্ড থেকে বখরা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ডিবির ভাবমূর্তি নষ্টকারী সোর্স সানী ও সোহাগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডিবির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন স্থানীয়রা।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!