✍️রনি কুমার বড়ুয়া
গোষ্ঠীচেতনা,বিভেদ,বৈষম্য,উগ্রতা
সমাজে তৈরি করে সুচিন্তার ঘাটতি,
সংকীর্ণ মনোবৃত্তি,পরমতে অশ্রদ্ধা-
বিভাজন বাড়ায়,নষ্ট করে সম্প্রীতি!
অহংবোধ বাড়ায় অসহিষ্ণুতা
ভালোবাসার বদলে বাড়ায় হিংসা,ঘৃণা
পরস্পরে তৈরি হয় বিদ্বেষ-
বাড়ে অস্থিরতা,ধ্বংস হয় পরিবার-সমাজ-দেশ!
দৈন্যতায় বহুত্ববাদ,উদারনীতি,গণতান্ত্রিকতা
বাড়ছে অহমিকা-কমছে ভ্রাতৃত্ববোধ,পরমতসহিষ্ণুতা
বৈষম্য লিঙ্গচেতনায়,কখনো ঘটে সম্প্রদায়গত দ্বন্দ্ব
অমানবিক সমাজ এসব দেখেও যেন আজ অন্ধ!
ইপ্সিত অর্থবিত্ত,পদলোভ,সংখ্যায় জনপ্রিয়তা
তৈরি করছে পরস্পর অপ্রীতি-অসহিষ্ণুতা
অসহনশীল মত,অসমর্থন,অকথন বাড়াচ্ছে বৈরিতা-
অনৈক্যে,অসৌজন্যতাবোধে লোপ পাচ্ছে গ্রহণযোগ্যতা!
অসহিষ্ণুতা একটি মারাত্মক ব্যাধি
ব্যক্তি-ব্যক্তিতে অসম্মান বাড়াচ্ছে নিরবধি,
জরাগ্রস্থ করছে ব্যক্তি,সমাজ,পরিবার-
নির্মূলে ‘সচেতনতা’ দরকার বারংবার!
সর্বজনীন সু-চিন্তার ঘাটতি
তৈরি করছে পারস্পরিক অশান্তি,
আপনার, আমার প্রত্যেকের মৈত্রী-
নিজের মধ্যে তো বটেই,তৈরি করবে বিশ্বশান্তি!
বিনয়,সৌজন্য,প্রজ্ঞাচর্চা,মানবিক আচরণ
‘শব্দগুলো’ অনেক দূরে, নির্বাসনে এখন,
সুবোধ-সুকথা-সুচিন্তাশক্তি যখন বৃত্তবন্দী-
বলুন তবে,পরস্পরে কি করে হবে সন্ধি!