মাহাবুবুর রহমান।
(ঝিনাইদহ)থেকে:
কথায় আছে, পরিশ্রমই সফলতার চাবি কাঠি।(Determined is key of success) হ্যাঁ এটাই বাস্তব জীবনে প্রমানিত? _
ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার (২) নং দোড়া ইউনিয়নের অজপাড়া সোয়াদি গ্রামেরএক দিন মজুর বিমল বিশ্বাস।।
এ, পরের বাড়ি কামলা খাটে আবার সময় পেলেই ক্ষুর কাইচি নিয়ে চুল দাড়িও কাটে। এমন এক পরিশ্রমিক যুবক।
২০ বছর বয়সে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
১৫ বছর বয়সী পদ্ম রানী বিশ্বাস এর সাথে।
দুই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই স্ত্রী পদ্ম রানী বিশ্বাস এর কোল জুড়ে আসে প্রতিক্ষিত আদরের ধন।
তারা স্বামী স্ত্রী থেকে বাবা-মা,বেড়ে যায়,
খরচ,
আনন্দে আত্নহারা বাবার। কপালে চিন্তার ভাজ।
,ছেলের নাম
ননি গোপাল।
ননি গোপাল,জন্ম নেওয়ার পর দিদিমা(নানি) নাতির দুধ খাওয়ার জন্য একটা গাভী পাঠান জামাই বাড়িতে।
জামাই গাভী পালনের পাশাপাশি পরের বাড়ি কামলা ও অন্য সময় সেলুনের কাজ করে অর্ধাহারে ন,অনাহারে দিনাতিপাত করেন।
পৈত্রিক সুত্রে বাড়ির ভিটায় ১৫ কাঠা জমি পান তিনি,
মাঠে ছিলনা কোন চাষের জমি।বসত ভিটা আর শশুরের দেওয়া গাভী।
সেই গাভি থেকে তার জীবনের এই অভাবনীয় পরিবর্তন।
সেই গাভী থেকে এখন তার ছোট বড় মিলিয়ে ৪৮ টি গরু।
আর এই গরু পালন থেকে সে একমাত্র মেয়ে চন্দনা বিশ্বাস কে বিবাহ দেওয়া, বড় ছেলে নলি গোপাল কে জব ভিসায় মালয়েশিয়া পাঠানো,
এবং ছোট ছেলে কে স্টুডেন্ট ভিসায় মালয়েশিয়া পাঠানো, নিজের গড়া ২টি ফ্লাট বাড়ি। চাষ- আবাদের জন্য ৭ বিঘা জমি কেনা প্রায় সবই এই গাভী পালনের মাধ্যমে।
একটা গাভী থেকে ৪৮টি গরু, তাকে স্বর্ণ শিখরে পৌঁছে দিয়েছে।
আজ তার একটাই দু:খ এতগুলো গরু পালন করলেও পান্নি কোন সরকারি সাহায্য। পশু সম্পদ বা প্রাণিসম্পদ কোন সাহায্য বা সহযোগিতা পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে, তিনি ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলেন। নিজেকে খামারি হিসাবে পরিচয় দিতে মন টানে না।
তিনি দু:খ করে বলেন,
৫–১০ গরু পালন করে অনেকে বড় খামারি। আর আমি ৪৮ গরু পালনের মাধ্যমেও পাইলাম না সরকারি সাহায্য, যুব উন্নয়ন বা পশুসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকেও পেলাম না কোন সহযোগিতা। সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার, আমি পেলাম না কোন খামারির মর্যাদা।
তিনি বলেন মর্যাদা না পাওয়ার কারণে যুবক সমাজ ছোট বড় খামার তৈরিতে আগ্রহ হারাবে। ফলে মাংস উতপাদনে ব্যাঘাত ঘটবে।
তার প্রত্যাশা সংস্লিস্ট মন্ত্রণালয় গুলোর সঠিক নজরদারিতে খামারিরা উৎসাহিত হবে,এবং যুব সমাজ শুধু চাকরির পিছনে না ঘুরে বাড়ির আংগিনায় ছোট বড় খামার গড়ে তুলে, নিজের উপার্জনের পাশাপাশি দেশের মাংস উৎপাদন করে পুস্টি চাহিদা পুরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে,এটাই তার একমাত্র কামনা।