স্টাফ রিপোর্টার: নেত্রকোণার মদনে ষাঁড়ের লড়াইয়ের আড়ালে চলা জুয়ার আসর বন্ধ করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ষাঁড় ও হুমায়ূন কবির নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের বটতলা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হুমায়ূন কবির নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে। আটক হওয়ার ষাঁড়ের মালিক না পাওয়ায় ষাঁড়টি মদন থানায় রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে এলাকার একটি কুচক্রী মহল গণের হাওরে ষাঁড়ের লড়াইয়ের আয়োজন করে। এর আগেও একইভাবে কাইটাইল ইউনিয়নে একাধিক স্থানে ষাঁড়ের লড়াইয়ের আয়োজন করা হয়। পুলিশ টাকা নিয়ে ষাঁড়ের লড়াইয়ের সহযোগিতা করায় এবার স্থানীয় লোকজন বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ শাহ আলম মিয়াকে জানান। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ইউএনও ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও আনসার সদস্যদের নিয়ে অভিযান চালান। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল গ্রামের ষাঁড়সহ হুমায়ুন কবির নামের একজনকে আটক করেন। এ ঘটনায় থানায় জুয়া আইনে মামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে মদন থানায় পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম জানান, ষাঁড়ের লড়াইয়ের খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় জুয়া আইনে মামলা দিয়ে হুমায়ূন কবির নামের একজনকে মঙ্গলবার নেত্রকোণার আদালতে পাঠানো হয়েছে। লড়াইয়ের একটি ষাঁড় থানায় আটক আছে যার মালিক এখনো পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ শাহ আলম মিয়া জানান, ভোরে গণেশের হাওরে অভিযান করে ষাঁড়ের লড়াই ও জুয়ার আসর বন্ধ করা হয়। সেখান থেকে এক ব্যক্তিসহ একটি ষাঁড় আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।