1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
অবাধে প্যারাবন ও পাহাড় নিধনের ফলে ২৯ এপ্রিলের চাইতেও ভয়াল স্মৃতির মুখোমুখি হতে হবে মহেশখালীবাসীকে - Bikal barta
২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| সোমবার| রাত ১১:৫১|
সংবাদ শিরোনামঃ
জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মুমিনপুর গ্রামের ব্যবসায়ী সমছু দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত!  আল্লাহ্ কে, আপনি কি তাঁর পরিচয় জানেন? হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।  সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথম কার্গো ফ্লাইট চালু। পলাশবাড়ী পৌর জামায়াতের শিক্ষা বৈঠক অনুষ্ঠিত,, ধামইরহাটে আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে ইউএনও বাগেরহাটের রামপালে কথিত ডেভিল হান্টের অভিযোগে সাংবাদিক গ্রেফতার । দোকানের টাকা চাইলেন দিনে, রাতে অন্ধকারে খেলেন মাইর  নীলফামারীর ঢেলাপীর হাটের সরকারি জমি দখলের মহা উৎসব চলেছে ভাঙ্গায় আম পাড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত-২৫

অবাধে প্যারাবন ও পাহাড় নিধনের ফলে ২৯ এপ্রিলের চাইতেও ভয়াল স্মৃতির মুখোমুখি হতে হবে মহেশখালীবাসীকে

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় শনিবার, মে ৪, ২০২৪,
  • 178 জন দেখেছেন

 

স্টাফ রিপোর্টার:

মহেশখালী সমিতি – ঢাকা’র উদ্যোগে ভয়াল ২৯ এপ্রিল ১৯৯১ স্মরণে এক স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল গত ৩ মে ঢাকার সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।

সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাজ্জাদ হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ানে সঞ্চলনায় প্রধান আলোচক বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ও প্রতিবুদ্ধিজীবি সম্পাদক সাদাত উল্লাহ খান, আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, সমিতির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জসিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এরফান উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও শিল্পোদ্যোক্তা মার্শাল পাভেল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ি ও সমিতি নির্বাহী সদস্য সাইদুল করিম, লেখক, প্রকাশক ও মুন্সিয়ানার সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন মিরান , সমিতির প্রচার সম্পাদক সালমান এম রহমান, উইংস এর সভাপতি নাইম রহমান আকাশ, ডুসামের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এমরান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন প্রমুখ। ভয়াল ঘুর্ণিঝড়ে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সমিতির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এইচ এম একরামুল হক রানা।

বক্তারা বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও পরিবেশগত বিপর্যয় রোধকল্পে বিভিন্ন কথা বলেন। সমাজবিজ্ঞানী ও প্রতিবুদ্ধিজীবি সম্পাদক সাদাত উল্লাহ খান বলেন, উপকূলের বেড়িবাঁধগুলো অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় আছে। এগুলো ৯৯ ভাগ মাটির তৈরি এবং বিভিন্ন স্থানে এগুলো ভেঙে গেছে। আশু পরিকল্পনা করে এগুলো মেরামত ও স্থায়ী কনক্রিটের বেড়িবাঁধ করা জরুরি। আবার ’৯১ এর মতো দুর্যোগ হলে লাখ লাখ লোক মারা যাবে, তলিয়ে যাবে সমুদ্র জলে। এটা উপকূলবাসীর শুধু জীবন রক্ষায় কাজ করবে তা নয় প্রবল জোয়ার থেকেও বাঁচাবে আর কানেকটিং সড়ক হিসাবে কাজ করবে।

গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান বলেন, উপকূলকে ঝড় জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করে প্যারাবন কিন্তু দুর্বৃত্তরা নির্বিচারে প্যারাবন ধ্বংস করছেন। সিনৃডিকেট করে অবাধে প্যারাবন ও পাহাড় নিধনের কারনে ২৯ এপ্রিলের চাইতেও ভয়াল স্মৃতির মুখোমুখি হতে হবে মহেশখালী বাসীকে। এ অপকর্মে দলমত সবাই সিন্ডিকেট করে একজোট হয়েছে। স্থানীয়ভাবে ওদের প্রতিরোধ বা মামলা করা সম্ভব নয়। আমাদের কেন্দ্রীয়ভাবে একটা কমিটি করতে হবে যারা পরিবেশ ধ্বংসের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে মামলা করবে। একমাত্র মামলাকেই অপরাধীরা ভয় পায়।

লেখক, প্রকাশক ও মুন্সিয়ানার সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন মিরান বলেন, উপকূলীয় বন যে কোন উপায়ে রক্ষা করতে হবে। নইলে উপকূল চরম ঝুঁকির মুখে পড়বে। যেভাবে প্যারাবন নিধন চলছে তাতে আগামী ২০-৩০ বছর পর মহেশখালী থাকবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহপোষন করেন বক্তারা। এই ধ্বংসের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যেকোন মূল্যে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মতামত ব্যক্ত করেন তারা। বক্তারা বলেন, যে উন্নয়ন বনকে ধ্বংস করে, পাহাড়কে ধ্বংস করে সে উন্নয়ন চাই না। আমরা চাই প্রকৃতি বান্ধব উন্নয়ন।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও শিল্পোদ্যোক্তা মার্শাল পাভেল বলেন, উপকূলীয় বন যে কোন উপায়ে রক্ষা করতে হবে। নইলে উপকূল চরম ঝুঁকির মুখে পড়বে। যেভাবে প্যারাবন নিধন চলছে তাতে আগামী ২০-৩০ বছর পর মহেশখালী থাকবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহপোষন করেন বক্তারা। এই ধ্বংসের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যেকোন মূল্যে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমিতি নির্বাহী সদস্য সাইদুল করিম বলেন, উপকূলীয় এলাকায় বছরের বিভিন্ন সময়ে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সাইক্লোন, টর্ণেডো সহ নানারকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে। এর ফলে ঘরবাড়ি, ফসল ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে কমিয়ে আনে সৃজিত উপকূলীয় প্যারাবন। যেখানে নতুন নতুন বন সৃজন করার কথা, সম্প্রসারিত করার কথা- সেখানে তা ধ্বংস করা হচ্ছে, সংকুচিত করা হচ্ছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!