সিলেট অফিস:::

সিলেট নগরের ছড়ারপারে কিশোর মো. আলী (১৭) হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা এ হত্যাকাণ্ডের মামলার এজহারনামীয় আসামি।

রোববার বিকালে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- ফরহাদ মিয়া (২০), নূরনবী নুনু (১৯), সাকিব আহমদ (১৯) ও রাহিম আহমদ (১৯)। এদের মধ্যে ফরহাদ এ মামলার মূল আসামি। শনিবার রাত ১১টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানাধীন দত্তগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জন্মদিনের কেক কাটার কথা বলে তিনজন বন্ধু মো. আলীকে চালিবন্দরের পার্শ্ববর্তী মাছিমপুর ডেকে নেয়। সেখানে যাওয়ার পর তার উপর হামলা চালানো হয়। এ সময় মো. আলী দৌঁড়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা চালায়। চালিবন্দর ভৈরব মন্দির সংলগ্ন এলাকায় আসার পর সে পড়ে গেলে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট এমএমজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সূত্র জানায়, সিলেট নগরীর ছড়ারপার ও কামালগড় এলাকার দুটি কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে দ্ব›দ্ব ছিল। এই দ্বন্দ্বের জের ধরে মো. আলী খুন হয়। ঘটনার পরদিন আলীর মা সফিনা খাতুন বাদি হয়ে ১১ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩-৪ জনকে আসামি করে এসএমপির কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

এসএমপি’র মিডিয়া অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারের পর প্রধান আসামি ফরহাদের দেওয়া তথ্যমতে চালিবন্দরস্থ একটি গ্যারেজের পিছনে ময়লা ফেলার স্থান হতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকু উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

খুন হওয়া মো. আলী নিশা (১৭) কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরের নূর আলীর ছেলে। পরিবারের সঙ্গে সে সিলেট মহানগরের ছড়ারপারের এ