আব্দুস শহীদ শাকির : জকিগন্জ উপজেলা প্রতিনিধি:
সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ -কানাইঘাট) আসনে ভোটের মাঠে চার হেভিওয়েট প্রার্থী নিয়ে ইতিমধ্যে হিসাব -নিকাশ শুরু হয়েছে।
এ ৪জনই কিন্তু একই উপজেলার প্রার্থী অর্থাৎ জকিগঞ্জ উপজেলার,
পক্ষান্তরে এই চার প্রার্থীর ভোটাররা প্রায় একই ঘরানার।
নৌকার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন গ্রুপিং রাজনীতির শিকার হয় ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অল্প ভোটে জাপা প্রার্থী মো: সাব্বির আহমেদের কাছে হেরে যান।
আঃলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. আহমদ আল কবির এবং মাওঃ হুছাম উদ্দিন বর্তমানে মাঠে থাকায় ভোটের সমীকরণটা বেশ জটিল হয়ে দাড়িয়েছে।
আঃলীগের গ্রুপিং পুর্বের চেয়ে প্রকট এমতাবস্থায় থাকায় জাপার প্রার্থী সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন।
তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় জনসাধারণের মন অনেকটা জয় করে ফেলেছেন বিধায় মানুষের মুখে মুখে তার কথা শুনা যায়।
তবে মাওঃ হুছামুদ্দিবের থাবাটা সবার জন্য চিন্তার কারন হয়ে দাড়িয়েছে!
তিনি সাহেব কিবলা ফুলতলীর ছেলে হওয়াতে মানুষের মনে আলাদা একটা জায়গা করে নিয়েছেন।
মাও হুছামুউদ্দিন কিন্তু বাকি ৩ জনের ভোটে ভাগ বসাবেন বলে অনেকের ধারণা।
নৌকার মাঝি মাসুক উদ্দিনের সুবিধা হল আঃলীগের ভোট ব্যাংকের বেশীরভাগ ভোট তিনিই পাবেন।
তিনিও উপজেলা চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় অনেককে সুযোগ -সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন।
আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমের গতি বাড়িয়ে দিলে তিনিও সবার উপরে থাকবেন বলে অনেকের ধারণা।
ড, আহমদ আল কবির,তিনি আওয়ামীলীগের হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মাঠে নেমেছেন।
তিনি সীমান্তিক মহাপরিচালক হওয়ার সুবাদে অনেককে চাকুরী দিয়েছেন,
চাকুরী দিতে সহযোগিতা করেছেন।
গরিব -দুঃখী মানুষকে সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সহযোগিতা করেছেন।
সমাজ সেবায় তিনি অনেকটা প্রশংসনীয়।
তাই তাকেও হেভিওয়েটদের লিষ্টে রাখতে হয়।
এমতাবস্থায় এই ৪ জন শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকলে ভোটের আমেজ ফিরে আসবে বলে অনেকে ধারণা করছেন।
সুতরাং প্রার্থীতা প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে কে আছে কে নাই।_____