মহসিন আলম মুহিন
নিজের দেখা কাছে থেকে কল্পনা নয় সত্য-
তারপরও তা রাখি ঢেকে কি হবে দিয়ে তথ্য?
জ্ঞান হয়ে কতকিছু দেখলাম অনেক রইলো বাকি-
আবার অনেক কিছুই শিখলাম কেমনে দেয় ফাঁকি।।
সামান্য কিছু স্বার্থের জন্য কতোনা ভেজাল করে-
আবার কেহ নয় আপন, তারাই দুখে কেঁদে মরে।।
বিশ টাকা ছিনতাই করতে জীবনটাই কেড়ে নেয়-
আবার বিশাল টাকা দান করে প্রাণ বাঁচিয়েও দেয়।।
টাকার বস্তা হাতে পেয়ে যারা-ফিরিয়ে দিত মালিককে,
তাদের বংশধর হাতিয়ে নেয় অন্যের টাকা-কড়িকে।।
ব্যবসায়ীরা অব্যবসায়ী হওয়ায় মানুষের বেড়েছে কষ্ট,
মুনাফাখোরে ভরা দুনিয়া ভালো নিয়ম-নীতি সব নষ্ট।।
দুনিয়া জুড়ে ধনকুবেররা নেতা, জনদরদী নেই মাঠে,
হিংসা-বিদ্বেষে মায়া মমতা শেষ! যুদ্ধের দামামা উঠে।।
প্রাণ বাঁচাতে শপথ করেও প্রাণ কেড়ে নেয় আবার-
সেবার নামে লুটপাটে নামে, জমায় টাকার পাহাড়।।
পিতার পাপে পুত্রের ক্ষয় দেখেছি চোখেরই পড়ে,
জনকের পুণ্যে পুত্রের জয়-কেটেছে উল্লাস করে।।
কেহ কেহ প্রচন্ড জনপ্রিয়তা নিয়ে মসনদে হয় আসীন,
আবার দেখেছি স্বেচ্ছাচারী হওয়ায় বিচারের সম্মুখীন।।
স্বৈরাচারের অন্যায় দেখেছি! দেখেছি মরেছে মানুষ,
শোষকের আবার পতন দেখেছি-তবুও হয় না হুস।।
খরিদ্দারকে ঠকিয়ে দোকানি হারিয়েছে দোকান পাট,
উত্থান পতন কতই না দেখেছি ঘাট হলো যে অঘাট।।
অসৎ শিক্ষক রক্ষক হয়ে ভক্ষক সেজেছে যখন,
তখন তার ভেঙেছে চেয়ার, সমাজের হয়েছে পতন।।
ছাত্র-ছাত্রীরা ভুলে গেছে আজ তাদের কি কি কাজ,
মোবাইল ঘেঁটে সময় কাটে! আহা! নাই যে কোন লাজ।।
কাফন চোরা, মৃত দেহকে অসম্মান! এও দেখলাম ভবে,
কঙ্কাল চোরও ভিন গ্রহের নয়-এরা মানুষ হবে কবে।।
সেবার নামে আমানত নিয়ে-খেয়ানতকারী সাজে,
বললে কথা গরাদে ভরে দোষহীনকে বলে বাজে।।
রড-সিমেন্ট, বৃত্তি-উপবৃত্তি আরও অফিসের ফাইল,
সব কিছুরই মলাট খুলে খায়-ওদের হাতে হয় কাহিল।।
পেনশনের টাকায় ভাগ বসায় লাগে না বিবেক কাজে,
‘দেখেছি অশান্তি, কষ্ট টইটম্বুর ফেরে যখন ঘর মাঝে।।
খাদ্যে ভেজাল দিতে দেখেছি! একটুও ভয়ডর নাই,
আবার দেখেছি জরিমানা গুনতে-বিধাতা ছাড়ে নাই।।
ছাড় দেন প্রভু ছেড়ে দেন না, শুধরাতে দেন সুযোগ,
অতীত হতে শিক্ষা নিতে হবে-চলবে না হলে অবুঝ।।
# মহসিন আলম মুহিন
খামার গ্রাম কলেজ পাড়া
থানাঃ- এনায়েতপুর
উপজেলাঃ- চৌহালী
জেলাঃ- সিরাজগঞ্জ
বিভাগঃ- রাজশাহী
দেশঃ- বাংলাদেশ।।
মোবাইল নং- ০১৭১৬৯১৩৯৩৯