আমার সংসার টা বেশ বড়
তবুও আমি যেন একা!
অফিস থেকে ফিরে –
যে দৃশ্যটা আমাকে রোজ দেখতে হয়
সেটা হল, সবাই মোবাইলে ব্যস্ত।
পঁয়তাল্লিশ বছর বয়সী আমার স্ত্রী
বেশ পরহেজগার, নামাজী,
যে- নাকি কুরআন থেকে সুরা মুলক
পাঠ না করে ঘুমাতে যেতেন না,
টিক টক দেখায় এখন তার ব্যস্ত সময় পার হয়।
বড় মেয়েটা ভার্সিটি থেকে এসেই
মোবাইল ফোনে চ্যাটিং,
তার পরেরটা ছেলে –
স্কুলের মেধাবী ছাত্র,
এবারের পরীক্ষায় কোনরকমে পাস!
পড়ালেখা গোল্লায় গেল, স্মার্ট ফোনে গেম খেলায়।
কার্টুনে আসক্তি ছোট ছেলেটা,
খাবার খাওয়াতে বসালে –
চালু রাখতে হয় কার্টুনের অ্যাপস।
টেবিলে সাজিয়ে রাখা খাবার,
অনেকদিন এমনিতেই বাসি হয়ে যায়,
খিদার টান পড়ে না কারো পেটে।
খাবারে অনিহা, খিটখিটে মেজাজ
ছেলেমেয়েদের।
স্ত্রীকে খাবারের টেবিলে ডাকলে
মোবাইল স্ক্রিনে চোখ রেখে সরাসরি বলে দে –
খে য়ে নাও, আমার এখন খিদে নেই।
কাজের মেয়ের শ্যামলী,
দু মাসের মাইনে জমিয়ে
সে একটা স্মার্ট ফোন কিনে নিল।
আমার মেয়েকে দিয়ে
চালু করে নিল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট,
এখন তার অনেক ফেসবুক ফ্রেন্ড!
ছবি শেয়ার করে –
গুগল থেকে ডাউনলোড করে গান, নাটক
তার ব্যস্ততাও কম কিশে।
বিরক্ত হয়ে অনেক সময়
বন্ধুদের আড্ডায় চলে যাই,
সেখানেও আইপিএল বিপিএল
বাজি ধরে চার, ছক্কার খেলা।
বাসায় ফিরে ভাবি
আমি বড় একা হয়ে গেলাম!
পরিবার আর বন্ধুত্বের বন্ধনটা
আর বুঝি রইলো না।।