আল আমিন কাজী,বরিশাল : বরিশাল-২ আসনে মেননের বিপক্ষে ভোটের মাঠে আছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম মনি ও শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের নাতি একে ফাইয়াজুল হক রাজু
আওয়ামী লীগ এই আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. তালুকদার মো. ইউনুসকে। তবে তাকে ২ আসন থেকে সরে যেতে হয়েছে।
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য একে ফাইয়াজুল হক রাজু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন ভোটের লড়াইয়ে। তিনি বলেন, “নৌকা প্রতীকে প্রার্থী দেওয়া হলেও শেখ হাসিনা বলেছেন, যে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে। আমি আশাবাদী ভোটাররা সুচিন্তিত মতামত দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবে।
রাজনৈতিক কলাকৌশলে যখন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক,বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. তালুকদার মোঃ ইউনুসের প্রার্থীতার মনোনয়ন পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ খাঁন মেননের নমিনেশন চূড়ান্ত করা হয়, সে ক্ষেত্রে দলের প্রতি বরিশাল ২ আসনের কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ সৃস্টি হয়। কেনোনা সকলে আশাবাদী ছিল বরিশাল ২ আসনে তালুকদার মোঃ ইউনুস একজন আদর্শ নেতা হিসেবে সকলের মাঝে অবতরণ করবে। কিন্তু মুহুর্তের মধ্যে সকলের আশা ভরসার চিন্তা ভাবনার ফলাফল বিপরীত মুখি হয়, নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রদান করা হয় রাশেদ খাঁন মেনন কে।
ইউনুসকে মনোনয়ন দেওয়ায় নেতাকর্মীরা উৎফুল্ল ছিল। প্রার্থী পরিবর্তন করায় কারো মধ্যে নির্বাচনি আমেজ নেই।
তবে ২ আসনের সাধারণ জনগন পিছিয়ে নেই, নির্বাচন মাঠে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের নাতি, একে ফাইয়াজুল হক রাজু ঈগল মার্কায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নৌকার বিপক্ষে মাঠে থাকবেন।
হিসাব গননায় মাঠ কার্যক্রমে নৌকা মার্কার প্রচারনার পূর্বেই ঈগল মার্কার প্রচারনায় বরিশাল ২ আসন উজ্জীবিত। সাধারণ মানুষের দাবি আমরা সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে ঈগল মার্কায় শেরে বাংলার দৈহিত্র একে ফাইয়াজুল হক রাজুকে জয়যুক্ত করবো।
তবে রাজনৈতিক অবস্থার কোনো ধরনের নৌকা মার্কার দলীয় প্রচারনা দেখা যায়নি। তবে কী রাশেদ খাঁন মেনন, ফাইয়াজুল হক রাজু এবং মনিরুল ইসলাম মনি থাকায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দ্বিধাবোধ করছেন।
যেখানে ঈগল প্রতিকের ব্যানার এবং মাইকিং প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ঈগল প্রতীকের নেতাকর্মীরা। সেখানে নৌকা প্রতীকের বিষয়ে কোনো ধরনের পোস্টার কিংবা প্রচার প্রচারনা দেখা যায়নি।
বিষয়টি ভিন্ন চোখে দেখছেন স্থানীয় বানারীপাড়া-উজিরপুরের অধিকাংশ নেতাকর্মী এবং সাধারণ জনগণ।