কে এম বেল্লাল
বিশেষ প্রতিনিধি পাথরঘাটা উপজেলার।
প্রতি বছরের মত মৎস্য সম্পদ রক্ষায় রবিবার (১৯ মে) থেকে ৬৫ দিনের জন্য বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বরগুনা, পাথরঘাটা উপজেলার হাজারো জেলে। মৎস্য শিকারের জন্য প্রতিবার সমুদ্রে গেলেও অধিকাংশ সময় জেলেদের ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। এ বছর জেলেদের জালে তেমন একটা ধরা পড়েনি রুপালি ইলিশ। ৬৫ দিন জেলেরা কর্মহীন থাকার কারনে জেলেদের জন্য দেওয়া হয়েছে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ। ২০২৪ অর্থবছরে সরকারের মানবিক খাদ্যসহায়তা কর্মসূচির আওতায় দেওয়া হয়েছে এ সহায়তা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সমুদ্রে মাছের উৎপাদন বাড়াতে ২০১৫ সাল থেকে শুরু হয় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে কোন মাছ ধরতে পারেন না জেলেরা। বরগুনা পাথরঘাটা পৌরসভায় ৯৯০ জন জেলে থাকলেও নিবন্ধিত বরদ্দর জেলের সংখ্যা ৬৭১ জন। তারা সবাই সমুদ্রের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর দুইটা নাগাত পাথরঘাটা ৭ নং ওয়ার্ড পৌর মার্কেটে বসে কাউন্সিলার মোসাফফের হোসেন বাবুল তার নেতৃত্বে, ৭নং ওয়ার্ডের নিবন্ধিত ৯২ জন জেলের মাঝে ৫৬ কেজি করে চাল বিতরণ করেন।
ঘটনাস্থলে গেলে কাউন্সিলর মোসাফফের হোসেন বাবুল দুংখ প্রকাশ করে সংবাদ কর্মীদেরকে জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ৬৫ দিনের অবরোধের সময় ও মা ইলিশের সময় জেলেদেরকে ক্ষতি পূরণ হিসেবে চাল দিয়ে সহয়তা করে থাকেন, তার ধারাবাহিকতায় বর্তমানে পৌরসভায় চালের বরাদ্দের সংখ্যা ৬৭১ জন আমাদের পৌরসভায় মোট নামের পরিমান ৯৯০, এনিয়ে জনপ্রতিনিধিদের চরম ভাবে বিপাকের সৃষ্টি হতে হয়। এ কারণে আমাদের পৌরসভায় ৯৯০ থেকে ৬৭১ নাম দিলে সমস্যা সৃষ্টি হয়। কারণ ৬৫ দিনের অবরোধে সকল জেলারাই মাছ আহরণ থেকে বিরত থাকে, এরমধ্যে যাদেরকে বাদ দিতে হয়, তারা কিন্তু বিভিন্ন গুজব আমাদের নামে ছড়ায়। আমি (কাউন্সিলর মোসাফফের হোসেন বাবুল) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনা কাছে অনুরোধ করব শতভাগ জেলেরা যেনো এই সময় চাল পায়।