মো. রাসেল শেখ, (নড়াইল জেলা) প্রতিনিধি
জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার নাম ভাঙিয়ে নড়াইল পৌরসভার ধোপাখোলা এলাকায় বসতবাড়ির ১৫ শতক জমি দখল করে একতলা ভবন ভাঙচুর এবং গাছ-পালা কেটে ফেলায় অসহায় মোসাঃ নাসিমা বেগমের পাশে এসে দাড়িয়েছেন নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা। শনিবার (৮ই জুন) বিকালে নড়াইল পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে মেয়র আঞ্জুমান আরা অসহায় নাসিমা বেগমের পরিবারের ভরণপোষণ ও খোলা আকাশের নীচে মাথা গোজার ঠাই হিসাবে টিনের ঘর করে দেয়ার ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার (৭ জুন) রাতে সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান নড়াইল সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ওই রাতেই প্রতিপক্ষ মোহাম্মদ উল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তবে সে ছুটির দিনে জামিন পান । থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ধোপাখোলা মোড়সংলগ্ন নাসিমা বেগমের সঙ্গে মোহাম্মদ উল্লাহ জমি নিয়ে বিরোধ আছে। এ নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু মোহাম্মদ উল্লাহ কয়েক দিন আগে তার লোকজন নিয়ে জমিতে থাকা গাছপালা এবং ঘর-বাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় তারা নিজেদের মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপির লোক বলে পরিচয় দেয়। শনিবার (৮ জুন) জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. মেহেদী হাসান ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজ-খবর নেন এবং ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন। এ বিষয় অসহায় নাসিমা বেগম বলেন,দীর্ঘ সাত-আট মাস মোহাম্মদ উল্লাহের নির্যাতনে আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। কার কাছে যাব কিভাবে কি করব বুঝতে পারছিলাম না। তারপরও থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও আমার মামলা এখন পর্যন্ত নেয়নি। মেয়র আঞ্জুমান আরা বলেন,দীর্ঘদিন ধরে নাসিমা বেগমের ওপর যে অত্যাচার নির্যাতন হচ্ছে সেটা আমাকে কেউ জানাননি। এমনকি নাসিমার পরিবারের কেউ যোগাযোগও করেননি। পত্রিকায় নিউজের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি সরাসরি এসেছি। নাসিমার পরিবার যাতে সঠিক বিচার পায় তার চেষ্টা করবো। খোলা আকাশের নিচে থাকা নাসিমার পরিবারের জন্য টিনের ঘর করে দেয়ার ব্যবস্থা করবো। এছাড়া তাদের ভরণপোষণের জন্য চাল ডাল তেল লবণসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেবো। এ বিষয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, স¤প্রতি নড়াইল পৌরসভার ধোপাখোলা এলাকায় নাসিমা বেগম নামে এক নারীর বাড়ি ভাঙচুর এবং গাছ-পালা কাটার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়টি এবং অপরাধীদের সম্পর্কে এমপি অবগত নন। যারা তার নাম ভাঙিয়ে এসব অপকর্ম করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে নড়াইল সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এ প্রসঙ্গে জানতে নড়াইল সদর থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মোহাম্মদ উল্লাহকে গ্রেফতার করে চালান করে দেয়া হয়েছে।