এ এ রানা::
সিলেট মহানগরীর মেজরটিলা এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের ৩২ নাম্বার ওয়ার্ডে টিলার মাটি দিয়ে চলছে ওয়াকওয়ে নির্মানের মাটি ভরাট কাজ। বর্তমানে বৃষ্টির জন্য মাটি ভরাট কাজ বন্ধ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় নগরীর ৩২ নাম্বার ওয়ার্ডে মেজরটিলা-নুরপুর রাস্তায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের একটি ওয়াকওয়ে নির্মান কাজ চলমান রয়েছে, সেই নির্মান কাজে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। আর এই মাটি ভরাটের কাজ করছেন সুভাষ ও রাসেল নামের দুজন টিকাদার। তারা একই ওয়ার্ডের দক্ষিণ ইসলামপুর ফালগুনি আবাসিক এলাকার চান্দের টিলা নামের একটি স্থানীয় টিলা থেকে মাটি দিয়ে ভরাট করছেন নির্মানাধীন ওয়াকওয়ে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায় এই চান্দের টিলার মালিক লন্ডন প্রবাসী সিরাজ উদ্দিন ওরফে লন্ডনী সিরাজ এবং তরিক উদ্দিন নামের দুই ব্যক্তি। তরিক উদ্দিনের ব্যবসায়িক পার্টনার লন্ডনী সিরাজ। যার সাথে তরিক উদ্দিনের রয়েছে দহরমমহরম। কিছুদিন পর পর বাসায় দাওয়াত দিয়ে লন্ডনী সিরাজকে আপ্যায়ন করিয়ে ব্যবসায়িক সম্পর্ক মজবুত করেন।
চান্দের টিলার দুই মালিক ও ব্যবসায়িক পার্টনার সিরাজ এবং তরিক উদ্দিনের সাথে টিকাদার সুভাষ ও রাসেলকে মাটি ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য মধ্যস্ততা করেছেন সেচ্ছাসেবকলীগ সিলেট জেলা কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আ ক দ সাহেদ। যার কারনে মাটি বিক্রির টাকার একটি অংশ তিনিও পান। চান্দের টিলায় মাটি কাটার কারনে পাশ্ববর্তী বাড়ীঘর হুমকির মূখে পড়েছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা, এমন কি প্রানহানীও ঘটতে পারে। যার প্রমান গতকাল সোমবার ১০জুন মেজরটিলা চামেলিবাগ এলাকার ৩৫ নং ওয়ার্ডে টিলা ধসে স্বামী, স্ত্রী ও শিশু সন্তানসহ একই পরিবারের ৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
টিলার মাটি দিয়ে ওয়াকওয়ে ভরাটের বিষয়ে জানতে টিকাূদার সুভাষের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন আমি অসুস্থ এখন আর কাজ করাচ্ছিনা বলে দায় এড়িয়ে যান।
টিলার মাটি দিয়ে ওয়াকওয়ে ভরাটের বিষয়ে জানতে অপর টিকাূদার রাসেলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাহার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। রাসেল স্থানীয় ৩২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহেল আহমদ এর ভাই।
টিলার মাটি বিক্রির বিষয়ে জানতে টিলার মালিক ও লন্ডনী সিরাজের ব্যবসায়িক পার্টনার তরিক উদ্দিন এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন টিলা আমদের মৌরসি সম্পদ, সেই হিসেবে মালিক আমি। তবে সিরাজ লন্ডনী কে আমি চিনিনা। তার সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই বলে এড়িয়ে যান।
টিলার মাটি দিয়ে ওয়াকওয়ে ভরাটের বিষয়ে জানতে
স্থানীয় ৩২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহেল আহমদ এর সাথে যোগাযোগ করতে তাহার ব্যবহ্নত মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে বার বার ফোন করলে তিনিও ফোন রিসিভ না করায় তাহার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
টিলা কাটার বিষয়ে জানতে সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা নাসরিন আক্তার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন আমিতো টিলাকাটা ও ভূমিখেকোর বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা ও জরিমানা করছি, কিন্তু বন্ধ হচ্ছেনা। আর সিটি কর্পোরেশন আমার এলাকার বাহিরে, তবে আমি এখনই সিটি কর্পোরেশনের ম্যাজিট্টেটকে বলে দিচ্ছি।
এ ব্যপারে শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী জানান-চান্দের টিলা কাটার বিষয় তিনি কিছু জানেননা। তবে এখনই খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।