রাসেল আহমেদ সাগর,সিলেট ঘুরেঃ
বারি বর্ষণে সিলেটে বন্যার অবনতি সুনামগঞ্জ কানাইঘাট,জৈন্তাপুর জাফলং সহ প্রায় ৬০ টি গ্রাম প্লাবিত। সিলেটের ৪ ওয়ার্ড পানি বন্দী মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খাবার ও পানি সংকট। গত ১৬ ই জুন রাত তিনটা থেকে টানা বর্ষনের ফলে সিলেটের নদীগুলোর পানি বৃদ্ধির ফলে এবং ভারতের পাহাড় বেয়ে আসা পানির কারণে এই ভয়াবহ দূর্যোগের সৃষ্টি হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে সিলেটের সুরমা কুশিয়ারা, মৌলভীবাজারের মনু, ধলাই এবং হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে গত ১৮ ঘন্টায় এসব সিলেট বিভাগের ভেতর ১৫৩ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে কোন কোন জেলায় তারও বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
নতুন করে যাতে নতুন কোন এলাকা প্লাবিত না হয় তারজন্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সাধারণ মানুষ পাহারা বসিয়েছেন কোথাও কোথাও বালুর বস্তা দিয়ে বাঁধ উঁচু করার চেষ্টা করছেন সাধারণ মানুষ।
জানা যায় বর্তমানে সিলেট বিভাগের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানি বন্ধী রয়েছেন।
অধিকাংশ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন আশ্রয় কেন্দ্র ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে।
গত ১৭ তারিখ পবিত্র ঈদুল আজহার দিন হলেও সিলেটের অধিকাংশ মানুষ ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হন। ঈদের আনন্দের বদলে কান্না আর দিক বেদিক ছুটোছুটি করে কেটেছে দিন।
বর্তমানে পানি বন্ধী যে সকল মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন তাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার মজুদ আছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানালেও বাস্তবে রয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট।
মৌলভীবাজার মনু নদীর পানি টানা বর্ষনে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন করে বালি কান্দি, রায়পুর শ্যামরকোনা,রাজনগর, একা টুনা,সহ অনেক জায়গা বন্যা প্লাবিত হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। রাজনগরে বন্যাকবলিত এলাকায় এবং খলিলপুর ইউনিয়ন পরিদর্শন করেন মৌলভীবাজার রাজনগর ৩ আসনের সংসদ সদস্য জিল্লুর রহমান এমপি।
চাঁদনী ঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতার উদ্দিন এলাকার মানুষদের নিয়ে মনু নদীর বালি কান্দি নদীর বাঁধে বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ রক্ষার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছেন বলা জানা গেছে,এবং ঈদ উপলক্ষে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর উপহার চাল বিতরণ করেন বলে জানা গেছে।
ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি হওয়ায় প্রায় ২০ টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশংকায় নির্ঘুম রাত কাটছে অনেকের বলে জানা গেছে।
হবিগঞ্জ খোয়াই নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে জনমনে। অন্যদিকে টানা বর্ষনে শহরের বেশির ভাগ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বাসা বাড়িতে ও দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। সব মিলিয়ে বলা চলে ভালো নেই প্রানের সিলেট বিভাগ। এক দিকে বন্যার আশংকায় নির্ঘুম রাত অন্যদিকে টানা বর্ষন, আরেক দিকে একের পর এক গ্রাম প্লাবিত আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নেই বিশুদ্ধ পানীয় খাবার। বন্যা কবলিত মানুষের দাবী সরকারের তরফ থেকে যেনো খাবার এবং বিশুদ্ধ পানি জরুরি ঔষধ পাঠানো হয়।
সিলেট সিটি করপোরেশন মেয়র আখতারুজ্জামান জানা সিলেট শহরের ২৫,২৬,২৭,নং ওয়ার্ড বন্যাকবলিত হয়েছে বাকী সব এখন ও ঠিক আছে প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র ও খাবার ।
পানিবনধী এলাকা গুলো পরিদর্শন করেছেন সাবেক সিটি কর্পোরেশন মেয়র আরিফুল হক।