মো:শুকুর আলী,স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার
বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট-তাহিরপুর রাস্তা সংলগ্ন হোসনাগ্রামের সাজিদ মিয়ার ছেলে এমরান হোসেন(২৩)। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর ঘাতক লিটন মিয়া(৩৪) পালিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয় গ্রামবাসীর সহযোগিতা প্রায় ১ ঘন্টা পর তাহিরপুর থানা পুলিশের ঘাতক লিটনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। লিটন মিয়া একই গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে।
২১জুন শুক্রবার সকালে উপজেলার বাদাঘাট থেকে তাহিরপুর সদর রাস্তার হোসনারঘাট গ্রামে এই ঘটনা ।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানাযায়, লিটন প্রতিবেশী তার এমরানের মুদি দোকান থেকে সিগারেট সহ তার পরিবারের নিত্যাপ্রয়োজনী জিনিস প্রায়ই বাকি ও নগদে ক্রয় করে থাকতো অনেক সময়। আজ শুক্রবার সকালে এমরানের দোকানে যায় বাকিতে সিগারেট আনতে। কিন্তু এমরান পূর্বের বকেয়া টাকা না দেয়ায় সিগারেট দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ক্ষিপ্ত হয়ে লিটনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে লিটন তার বসতঘর থেকে দৌরে গিয়ে দাড়ালো দা এনে এমরানের দোকানের ভিতরে ঢোকে কুপিয়ে এমরানকে হত্যা করে লিটন।
নিহত এমরানের পিতা জানান, আমরা সকালে ঘরের ভিতরে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাচাঁও বাচাঁও বলে চিৎকার শুনতে পাই। পরে তাড়াহুড়ায় ঘুম থেকে উঠে ঘর লাগোয়া সামনে দোকান ঘরে এসে দেখি লিটন আমার ছেলেকে দা দিয়ে কুপিয়ে চলে যায়। পরে চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে তাহিরপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
লিটনের কাছে আগের দোকান বাকি পাই।আজকে আবার আইছে সিগারেট বাকি নিতে। সিগারেট বাকি না দেয়া আমার ছেলেকে কুপিয়ে মারছে। আমার একমাত্র ছেলে। তার তিনটা পুলা- মাইয়া আছে, বউ আমার হামিলদা( ম্যাগনেসি)। আমি মানুষের কাছ থাইকা হাত পেতে খাইয়া না খাইয়া চলতাম। আমি চোখে দেখিনা। এই বউ পুলাপান নিয়ে কেমনে চলুম। আল্লাহ গো।আল্লাহ
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দীন বলেন,এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক লিটনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।