নজরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার।
কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার অন্তর্গত দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের সাদের পাড়া ও কাইম্যার ঘোনা এলাকার মাঝামাঝি হতে বঙ্গবন্ধু বাজার যাওয়ার জন্য প্রতিদিন প্রায় দুই হাজারেরও বেশি মানুষের চলাচলের রাস্তা হিসেবে স্থানীয় লোকজন এই রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছে। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানির কারণে চলাচলের অসুবিধার কথা চিন্তা করে রাস্তায় চলাফেরার সুবিধার জন্যে তৎকালীন চেয়ারম্যান এর নেতৃত্বে একটি ড্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু স্থানীয় ও কিছু অস্থানীয় অসৎ মানুষের কারণে বৃষ্টি শুরু হলেই রাস্তাটি থেকে চলাচল করা খুবই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়দের মতে, ঐ এলাকার কিছু সংখ্যক বাসার লোকজন প্রায়ই সময় তাদের ব্যবহৃত প্লাস্টিক, পলিথিন কিংবা অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো পুড়িয়ে না ফেলে তারা ড্রেনে ফেলে দেয়। এমনকি অব্যবহারযোগ্য বেড়ও ড্রেনে ফেলতে দেখতে পেয়েছে.। তাদের এই অসৎ কাজের ফল ভোগতে হচ্ছে বাকি সব মানুষদের। তাদের এই কাজের ফলে অন্যদের চলাচল করা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
এই বিষয়ে অত্র এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মোস্তাক বলেন, আমাদের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এই রাস্তাটি। বর্ষাকাল আসলে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। আমরা এম ইউ পি কিংবা ইউপি চেয়ারম্যান এর সহযোগিতায় রাস্তা সংস্করণের দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া অত্র এলাকার সচেতন নাগরিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইদ্রিস বলেন, এলাকার কিছু অসচেতন মানুষের অবহেলার কারণে ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলে বর্ষাকালে পানি চলাচলে ব্যঘাত ঘটায়। ফলে বর্ষাকাল আসলে মানুষের চলাচলের অসুবিধা সৃষ্টি হয়। পরিষদ কর্তৃক রাস্তা সংস্করণ করে ইট এর ব্যবস্থা করে দিলে সকলে উপকৃত হবে বলে জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার ছৈয়দ আলম এর সাথে কথা বললে ওনি ড্রেন পরিষ্কার করতে উদ্যোগ নিবে বলে জানিয়েছেন। এরপর চেয়ারম্যান খোদেস্তা বেগম রীনা এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ব্যস্ততার কারণে এই বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করে নি।