স্টাফ রিপোর্টার- শুভ বড় দিন উপলক্ষে বিশ্বের সকল খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীসহ দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ এর সভাপতি মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, নির্বাহী সভাপতি এস এম রাশিদুল আলম ও মহাসচিব আলহাজ্ব মোঃ আকবর হোসেন। নেতৃবৃব্দ মন্তব্য করেছেন যে, মানবজাতির মুক্তির লক্ষ্যে এ পৃথিবীতে যিশু খ্রিস্টের আবির্ভাব ছিল এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। তিনি ছিলেন মানবতার অন্যতম মুক্তির দূত, আলোর দিশারি। জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ সমস্যা সংকুল বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যিশু খ্রিস্টের মূল শিক্ষা ও আদর্শ আজ খুবই প্রাসঙ্গিক। রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শুভেচ্ছা বার্তায় এসব কথা বলেন। তারা বলেন, যে কোন ধর্মের ওপর যাদের বিশ্বাস ও আস্থা আছে তারা সহজেই কোনো অন্যায় পদক্ষেপ নিতে পারে না। খ্রিস্টান ধর্মের প্রবক্তা যিশুখ্রিষ্ট সবসময় আর্ত-পীড়িতকে সাহায্য করতেন, তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতেন। সকল ধর্মের মর্মবাণীর দিকে তাকালে সাদৃশ্য খুজে পাওয়া যাবে। প্রত্যেক ধর্মেই শান্তির কথা বলা হয়েছে। সহশীলতার ও মানবতার কথা বলা হয়েছে। অনাহার ক্লিষ্ট, রোগাক্রান্ত অবহেলিত জনগোষ্ঠীকে সাহায্যের কথা বলা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের হাজার বছরের ঐতিহ্য হলো আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি। বাংলাদেশের জনগন সকলসময় এটাই বিশ্বাস করে যে, এখানে সকল ধর্মের সমান অধিকার থাকবে। এটাই হচ্ছে আমাদের মূল নীতি। সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারসহ পৃথিবীকে শান্তির আবাসভূমিতে পরিণত করার লক্ষ্যে যুগে যুগে যেসব মহামানব পৃথিবীতে এসেছেন যিশু খ্রিষ্ট তাদের অন্যতম। তিনি পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান জানিয়েছিলেন। তারা আরো বলেন, খ্রিষ্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিষ্ট এদিনে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন। শোষণমুক্ত সমাজ প্রবর্তনের জন্য পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই ছিল যিশু তাঁর অন্যতম ব্রত। বিপন্ন ও অনাহারকিষ্ট মানুষের জন্য মহামতি যিশু নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সকল সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিশ্বাস ও আবেগ অনুভূতির প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। সকল ধর্মের মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ধর্মীয় আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমেই সমাজে সুখ-শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। মানুষে-মানুষে শান্তি-সম্প্রীতি, আরও দৃঢ় করবে ধর্মীয় মূল্যবোধ।