নিজস্ব্ প্রতিনিধি: মদন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে বাদীর সেবা লাইব্রেরী এন্ড তালহা টেলিকম নামক দোকান রয়েছে। বাদী প্রতিদিনের ন্যায় ইং ২৪/০৬/২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ১০.২০ ঘটিকায় দোকানের বেচাকেনা শেষে দোকান বন্ধ করিয়া বাদী তার দোকানের কর্মচারী আবু হানিফ কে সঙ্গে নিয়া মদন পৌরসভাধীন জাহাঙ্গীরপুর কোর্ট বিল্ডিংস্থ বাদীর বসত বাড়ীর কাছে জনৈক এনায়েত মিয়ার বাড়ীর সামনে পৌছা মাত্রই অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন বিবাদীরা কাপড় দ্বারা মুখ বাধিয়া ধারালো চাকু প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাদীর সঙ্গীয় কর্মচারী আবু হানিফ এর নিকট একটি শপিং ব্যাগের ভিতর নগদ ৭৯০০০/- টাকা, ৪৮ হাজার টাকার বিভিন্ন সিমের মিনিট কার্ড, ০৮ টি বাটন মোবাইল সেট, যার মধ্যে উইমেক্স ০১টি, আইটেল ০৩টি, সিম্ফনি ০৩টি, নোকিয়া ০১টি মূল্য অনুমান ২০০০০/- টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়।বাদীসহ তার দোকানের কর্মচারী ডাক-চিৎকার শুরু করলে আশ-পাশ হতে লোকজন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছা মাত্রই বাদীর কাছ থেকে ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়া অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে মদন থানার পুলিশের একটি চৌকস দল নেত্রকোণা জেলা পুলিশের এলআইসি টিমের সহায়তায় লুণ্ঠিত মোবাইল ফোনের সূত্রধরে অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গত ২৮/০৬/২৪ তারিখ অনুমান ১৯:৩০ ঘটিকায় গাজীপুর জেলার টঙ্গী পূর্ব থানাধীন স্টেশন রোড এলাকা হইতে আসামী মোঃ আশরাফুল ইসলাম (২৫), পিতা-মোঃ শামসুদ্দীন, মাতা-শাহানা আক্তার, গ্রাম-বাড়ীভাদেরা (পশ্চিম), থানা-মদন, জেলা- নেত্রকোনাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে লুষ্ঠিত মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে আসামী রামীম ওরফে অন্তর (১৯), পিতা-বাবুল, মাতা-প্রিতী, সাং-বাড়ীভাদেড়া, উপজেলা/থানা-মদন, জেলা-নেত্রকোণাকে গত ০২/০৭/২৪ তারিখে গ্রেফতার করা হয়। তার নিকট হইতে লুষ্ঠিত একটি নোকিয়া মোবাইল সেট ও ব্যবহৃত মিনিট কার্ড উদ্ধার হয়। উক্ত আসামী বিজ্ঞ আদালতে কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। তার দেওয়া তথ্য মোতাবেক আসামী মোঃ আশরাফুল ইসলাম এর বসত ঘরের চাদুয়ার উপর রক্ষিত বাদীর লুন্ঠিত ০১ টি উইমেক্স, ০৪টি আইটেল ০১টি ওয়ালটন, ০১টি মারর্সেল মোবাইল সেট, বাংলালিংক সিম কার্ড ২৬টি, টেলিটক সিম কার্ড ০২টি, এয়ারটেল সিম কার্ড ১১ টি, গ্রামীণফোন সিম কার্ড ১৫ টি, গ্রামীণফোনের ২৯ টাকার ৩৯৮ টি রিচার্জ কার্ড, ২০ টাকার ৩১ টি রিচার্জ কার্ড, ১৪ টাকার ১২২ টি রিচার্জ কার্ড, ১৯ টাকার ৩৭৩টি রিচার্জ কার্ড, বাংলালিংক ১৯ টাকার ৪০০ টি রিচার্জ কার্ড সর্ব মোট ২৭,৬০০/- টাকার রিচার্জ কার্ড, ০১টি খয়েরী কাঠালী ছাপা টাঙ্গাইলের সুতির শাড়ি, ০১টি কালো ছাপা পাঞ্জাবী, ০২টি সাদা পায়জামা এবং দস্যুতার ঘটনায় ব্যবহৃত ০১টি স্টিলের হাতলযুক্ত ২৩ ইঞ্চি লম্বা ধারালো চাকু। উপরোক্ত ০২ জন আসামীরাই দস্যুতার ঘটনা স্বীকার করে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে।