1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
পঞ্চগড়ে জমি নিয়ে, শিক্ষক এর বিরুদ্ধে, মারধর-ভাঙচুর ও জমি দখলের অভিযোগ। - Bikal barta
৯ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৬শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| রবিবার| ভোর ৫:৪৯|
সংবাদ শিরোনামঃ
নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এর উদ্যোগে ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প প্রশাসন ব্যবস্থা পরিচ্ছন ও সংস্কার করে নির্বাচন দিতে যে সময় লাগবে জামায়াত তা দিতে প্রস্তুত        —-মিয়া গোলাম পরওয়ার পুলিশকে বোকা বানিয়ে হাসপাতাল থেকে পালালো ডা’কাত সিলেট নগরী মধ্যরাতে পুলিশের জালে ৪ নারী-পুরুষ নবীগঞ্জের ফারুক্বীয়া তাজপুর মাদ্রাসায় ২৫জন হিফজকে পাগড়ী প্রধান  আজ রাত থেকে অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু! পাইকগাছায় সিরাতুল হুদা হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আংশিক কমিটি ঘোষণায় কয়রায় আনন্দ মিছিল ও আলোচনা সভা  বরমী ডিগ্রী কলেজের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত,দাতা প্রতিনিধি রাসেল মোড়ল। ভাঙ্গায় ভলিবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুটি বাড়ির ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

পঞ্চগড়ে জমি নিয়ে, শিক্ষক এর বিরুদ্ধে, মারধর-ভাঙচুর ও জমি দখলের অভিযোগ।

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় রবিবার, জুলাই ১৪, ২০২৪,
  • 66 জন দেখেছেন

 

মো,মাহাবুব আলম

স্টাফ রিপোর্টার।

পঞ্চগড়ের ৪নং কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের বাবুর কামত গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুইপক্ষে মধ্যে ব্যপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুইজন গুরুতর আহত সহ আরো বেশ কিছু আগন্তুক পথচারী হতাহতের শিকার হয়। আহতদের পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা সহ এবং অন্যান্য হতাহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

 

অভিযোগ সূত্রে ঘটনা স্হলে পৌঁছে জানা যায়, পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলায় অবস্থিত ৪নং কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নে ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাদীপক্ষের গুরুতর আহত মো. সাইমুন(৩২), পিতা: মৃত. এডভোকেট হাবিবুর রহমান এর ছেলে গ্রাম: বাবুর কামাত,ইতিপূর্বে দীর্ঘ অনেক বছর জন্মসূত্রে রাজধানীর শহর পুরান ঢাকায় বসবাসকারী তার বাবার আকস্মিক মৃত্যুর কারণে পরবর্তী গত কয়েক বছর ধরে নিজ গ্রামের বাড়িতে বাবুর কামাত নামক গ্রাম এসে পারিবারিক সূত্রে পাওয়া পৈত্রিক সম্পত্তির উপর বৃদ্ধ মা ও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নতুন করে বসতি বাড়ি স্থাপন সহ, বাড়ির পার্শ্ববর্তী জমিতে পুকুর খনন করে মাছ চাষ ও অন্যান্য আবাদি জমিতে খেতখামার করে কৃষি ভিত্তিক জীবন জীবিকার উপার্জনের নিমিত্তে বসবাস শুরু করেন।

 

এমতাবস্থায় ঘটনার সময় গত ১৩ জুলাই ২০২৪ খ্রীস্টাব্দ রোজ শনিবার আনুমানিক বেলা বিকেল ০৪:০০ ঘটিকায় একই গ্রামে বসবাসকারী পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী ও পারিবারিক সূত্রে বাদীপক্ষ মো. সাইমুন এর আত্মীয় চাচা

প্রধান বিবাদী১/ মো.মোশারফ হোসেন(৪৮), অত্র এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ‘আমতলা কাজিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়’ এ চাকুরীরত একজন সহকারী শিক্ষক। তার পৈতৃক সম্পত্তির জের ধরে তার নিজের ছেলেসন্তান বিবাদী২/ মো.শাকিব(২০), তার স্ত্রী বিবাদী৩/ মোছা.শ্যমলী আক্তার(৪০), বিবাদী৪/ মো.মামুন(২২), পিতা: মো৷ সলেমান আলী, বিবাদী৫/ মো.সুমির,পিতা: অজ্ঞাত, বিবাদী৬/ মো.আতিকুর রহমান(৩৫),পিতা: অজ্ঞাত, ও আরো অজ্ঞাত ৭-৮ জন সর্ব-সাং-বাবুর কামাত, ৪নং কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন, উপজেলা: বোদা ও জেলা পঞ্চগড়। সকলে একত্রে সম্মিলিত হয়ে হাতে লাঠিসোঁটা,দাঁ-কোদাল নিয়ে ঘটনা স্থল বাদীর বাড়ির সামনের পুকুরের পার্শ্ববর্তী আবাদি কৃষি জমি (যাহা বাঁশের বেড়া দিয়ে পুকুর সমেত ঘেঁড় দেওয়া ছিল), সেই বাঁশের বেঁড়া দাঁও-কুড়াল,কোদাল দিয়ে ভাংচুর করে আবাদি ফসল নষ্ট করে দেয়, এবং জায়গাটি তাদের দখলে রেখে হালচাষে উদ্যোক্ত হয়।

 

এমতাবস্থায় বাদীপক্ষ মো.সাইমুন তার বসতবাড়ির ঘড় হতে লোকজনের হইহুল্লোর চিৎকার চেঁচামেচি ও বাঁশের বেড়া ভাঙচুর এর শব্দ শুনতে পেরে বাড়ি হতে বের হয় এবং পরবর্তীতে দেখতে পায় যে,

তার আবাদি জমির ফসল নষ্ট করে ফসলের উপরে নতুন করে হালচাষ দিয়ে বিবাদী পক্ষ মো.মোশারফ হোসেন ও তার দলবল নিয়ে জমি দখলে নেওয়া চেষ্টায় লিপ্ত।

ওই মুহূর্তে বাদী মো.সাইমুন তার আবাদি ফসল রক্ষার উদ্দেশ্যে তার জমিতে উপস্থিত হবার চেষ্টা করলে বিবাদীর লোকজনের কাছে বাঁধার সম্মুখীন হয়। বাদী সাইমুন উপায়ান্ত না পেয়ে, ফসল নষ্ট না করবার জন্য মৌখিকভাবে বিবাদী মো.মোশারফ হোসেন কে বলতে গেলে দুইপক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে বাদীকে কোন কিছু বুঝে উঠবার সুযোগ না দিয়েই বিবাদী মো.মোশারফ তার হাতে থাকা বাঁশের তৈরি লাঠি দিয়ে বাদীকে বেধড়ক এলোপাতাড়ি পেটানো শুরু করে দেয়।

এমন আচমকা এলোপাতাড়ি মারপিট এর দৃশ্য ওই মুহূর্তের জমির পার্শ্ববর্তীর রাস্তার পথচারীদের মধ্যে কয়েকজন লোক বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষের অনাত্মীয়,গ্রামবাসী হিসেবে সংঘাত-মারামারি বন্ধ করতে জামাইয়েত হয়।

বিবাদীপক্ষের অন্যান্য বিবাদীগণ যথাক্রমে সেসব পথচারীদেরকে প্রতিপক্ষের লোকজন ভেবে অসহায়-নিরীহ পরোপকারী লোকজনদের একিভাবে তাদের যারযার আপন হাতে থাকা বাঁশ ও কাঠের তৈরি লাঠি সোটা দিয়ে তাদেরকেও এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করে দেয়।

এমন অনাকাঙ্ক্ষিত হঠাৎ সংগঠিত মারামারি বন্ধের উদ্দেশ্যে বেচারা গ্রামের সোজা সরল,নিরীহ আগুন্তকঃ পথচারী লোকের মধ্যে অপ্রত্যাশিত ভাবে মো.রুহুল আলম(২৫), পিতা: মো. আব্দুল জব্বার,গ্রাম: আমতলা কাজীপাড়া নামের মানুষটিও মারমুখী বিবাদীর লোকজনের হাত থেকে রক্ষা না পেয়ে নৃশংস এলোপাতাড়ি লাঠির দ্বারা মারের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন।

 

এমন বেগতিক উভয় পক্ষের এলোপাথাড়ি লাঠি সোটা,ধস্তাধস্তি মারামারি প্রায় ঘন্টা খানিক সময় ধরে চলতে থাকলে পরবর্তীতে গ্রামের স্হানীয় আরো অন্যান্য অনেক লোকজন এসে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এনে

গ্রামবাসী সহযোগিতা পাশের গ্রামের ছেলে মো.কাজল(৩০) সহ আরো প্রায় ৩-৪ অজ্ঞাত আহতদের সাধারণ পথচারীদের কে ঘটনা স্থল থেকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী আমতা কাজীপাড়া নামক গ্রামের বাজারে পল্লী চিকিৎসক কাছে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং একই সময়ে গুরুতর আহত হওয়ায় বাদী১/মো.সাইমুন ও পথচারী মো.রুহুল আলম কে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।

পরবর্তীতে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে খোঁজ নিতেগিয়ে দেখা যায়, উক্ত মারামারি ঘটনার পুরুষ ওয়ার্ডের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি আছেন বাদী মো.সাইমুন এবং তার পাশেই আগন্তুক পথচারী গ্রামের সোজা-সরল মনে বিবাদ মিটাতে এগিয়ে আসা পরোপকারী মো.রুহুল আলম নামের নিত্যান্তই নিরীহ মানুষটিও অযাচিত ভাবে হাসপাতালের বরাদ্দকৃত বেড না পেয়ে মেঝেতে অসহায় অবস্থায় মারের ব্যথার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।

 

অভিযোগ সূত্রে আরো জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে বাদী মো.সাইমুন এর পরিবারের এর সঙ্গে বিবাদী মো.মোশারফ এর পরিবারের ওয়ারিশন ভাগাভাগি সূত্রের জের ধরে আবাদি জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।

ইতিপূর্বে কয়েক দফায় স্হানীয় সরকারের প্রতিনিধি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/মেম্বার ও গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ সন্মানিত ব্যাক্তি বর্গেগণের উপস্থিতিতে এই একি জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধ এর সমাধান হয়।

এ বিষয়ে স্হানীয় সরকার প্রতিনিধি ৪নং কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নে ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জনাব,মো.তরিকুল ইসলাম(মেম্বার) এর কাছে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য

 

জানতে চাওয়া হলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, উক্ত মারামারি সংঘটিত বিষয়ে তাকে বা তাদের কোন প্রতিনিধিকে উভয় পক্ষের কেউ কোন প্রকার লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করেন নাই। তবে ঘটনার পরবর্তী তিনি লোক মাধ্যমে অবগত হয়ে গ্রামের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে, নিজেই ঘটনার পরবর্তী দুপক্ষের বাড়িতে এসে শান্ত থাকবার জন্য অনুরোধ করেন এবং পরবর্তীতে দু’পক্ষকে নিয়ে সমস্যার সমাধান এর পথ খুঁজবার কথা বলে আস্বস্ত করেছেন।

এ ঘটনায় আহত বাদী মো.সাইমুন কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানান,
পরবর্তীতে তিনি সুস্থ হয়ে পঞ্চগড় জেলা আদালতে উপস্থিত হয় আইনজীবীর মাধ্যমে নিজে বাদী হয়ে উপরোক্ত ঘটনাটির প্রেক্ষিতে আবাদি ফসল নষ্ট, ভাঙচুর ও হত্যার উদ্দেশ্যে আহত করা সহ অন্যায় ভাবে পরের জায়গা দখল করবার চেষ্টা মামলার ধারায় বিবাদী মো.মোশারফ হোসেন ও তার আরো অন্যান্য সহযোগীদের নামে আদালতের নিয়ম মেনেই আইনানুগ সহযোগিতা কামনা করবেন বলে জানান। তিনি আরো জানান ঘটনার সময় উপায়ান্তর না পেয়ে তিনি ঐ মুহুর্তে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে পুলিশি সহযোগিতা চেয়েছিলেন।

অন্য দিকে একই বিষয়ে প্রতিপক্ষের বিবাদী মো. মোশারফ হোসেন(মাস্টার) এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া না যাওয়ায় তার পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
তবে আহত পথচারীদের কয়েকজনের আত্মীয় স্বজনের কাছে খোঁজ খবর নিতে গেলে তাদের মধ্যে আহত মো.কাজল(৩০), পিতা: আজিমউদ্দিন, গ্রাম: সাংনাপাড়া এর বড় ভাই আফসোসের সাথে বলেন, আমার ভাইর কি অপরাধ ছিল!! সে-তো দু’পক্ষের ভালোর জন্য এগিয়ে গিয়েছিল, তবে কেন মোশারফ মাস্টার ও তার লোকজনেরা আমার ভাইকে আহত করলো। এর বিচার চাই।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!