মাসুদ রানা,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি; কারো হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক, মাথায় টুপি, কারো হাতে ঝাড়ু, আবার কারো হাতে কোদাল। কেউ ধরেছেন বস্তা, আবার কেউ তাতে ভরছেন ময়লা। কেউ আবর্জনা তুলছেন, কেউ আবার নির্দিষ্ট পাত্রে রাখছেন। এভাবেই বিভিন্ন স্থানে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
সরজমিনে শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকালে উপজেলার বোর্ডেরহাট পরিস্কার করেন ছাত্রসমাজ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা উপজেলার পাকেরহাট বাজারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে, পাকের হাট ডিগ্রি কলেজ মোড়ের মুক্তিযোদ্ধা স্মারক, শিশু পার্কের সামনের জলাবদ্ধতা, শাপলা চত্বরসহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় পড়ে থাকা ময়লা-আবর্জনা, ইটের টুকরা, পুড়ে যাওয়া জিনিসপত্র পরিষ্কার করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের এ কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন সাধারণ লোকজন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বাংলাদেশটা আমাদের সবার। দেশের সম্পদ রক্ষার দায়িত্বও আমাদের। আমরা চাই সুন্দরভাবে দেশ চলুক। দেশের এ পরিস্থিতিতে আমরা শিক্ষার্থীরা সাধারণ মানুষের পক্ষে থাকতে চাই। সবাই সচেতন হলে একটি সুন্দর দেশ গঠন করা সহজ হবে। শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা আহ্বান জানিয়েছেন-শিক্ষার্থীদের সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে। আমরা তাতে সাড়া দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের অনেক টিম বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে। সড়কে পরিত্যক্ত ও ভাঙাচোরা জিনিসপত্র পড়ে অপরিষ্কার থাকায় জনগণ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। তাই জনগণের সুবিধার্থে সড়ক পরিষ্কারের কাজ করছি।আমাদের দেশটা যাতে সুন্দর থাকে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেই প্রত্যাশা করছি।’
তারা আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছি এবং তাতে সফল হয়েছি। এই আন্দোলনে সারাদেশে বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা ঘটে এবং তাতে আমাদের আশপাশ অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। তাই সারাদেশে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান কর্মসূচির আওতায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ দেশ আমাদের এ দেশ নিয়ে ভাবনা আমাদের সবার। তাই আসুন সকলে মিলে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও সহিংসতামুক্ত দেশ গড়ি ।