মোঃ জামাল হোসেন
পাথরঘাটা, বরগুনা
কৃত্য পেশা ভিত্তিক মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করবে মেধাভিত্তিক সচিবালয়”
বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস চাই।
বাংলাদেশে সিভিল সার্ভিস এর সম্মান ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার এর লক্ষে, দেশের সর্ব খাতের যুগোপযোগী উন্নয়নের জন্য, আমরা কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরলাম।
১. কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় আমাদের প্রাণের দাবি। আমলাদের থেকে স্বাস্থ্য কৃষি মৎস্য ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় আলাদা হলে উন্নয়ন এর সমতা বজায় থাকবে। এবং সকল সার্ভিস ক্যাডার এ সম্মান বজায় থাকবে। যেমন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ একাডেমিক, ক্লিনিক্যাল এবং প্রশাসনিক এই তিনটি সেক্টরকে ভাগ করে প্রমোশনের আলাদা আলাদা রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে এবং ৩টি সেক্রেটারি পদ সৃষ্টি করতে হবে।
সেক্রেটারি, অতিরিক্ত সেক্রেটারি, যুগ্ম সেক্রেটারি সব পোস্ট এ নিয়োগ পাবে স্বাস্থ্য ক্যাডার।
২. নার্সিং ও মিড ওয়াইফারি অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের আন্ডারে অন্যান্য অধিদপ্তর গুলোকে অবশ্যই স্বাস্থ্য ক্যাডারের অধীনে নিয়ে আসতে হবে। না হলে হসপিটাল গুলো চালানো সম্ভব হবে না।
৩. ইউ এইচ এফ পি ও, সিভিল সার্জন, ডিভিশনাল ডিরেক্টর এর মত প্রশাসনিক পোষ্টের স্যারদেরকে এডমিন ক্যাডারের মত ম্যাজিস্ট্রিসি পাওয়ার দিতে হবে যেন উনারা শক্ত হাতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্নীতি দমন করতে পারেন। এটা স্বাস্থ্য ক্যাডার এর মত সকল ক্যাডার এর ই চাওয়া।
৪. সততা, যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে সকল ক্যাডারদের নিয়মিত প্রমোশন এনশিওর করতে হবে। পোস্ট খালি না থাকলেও এডমিন ক্যাডারদের মত ইনসিটু প্রমোশন চালু করতে হবে।
৫. অন্যান্য ক্যাডারের মত সকল চিকিৎসক বৃন্দের জন্য অটোমেটেড প্রমোশন প্রসেস শুরু করতে হবে, সেটা কারো পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী থাকুক আর নাই থাকুক। একটি নির্দিষ্ট গ্রেড পর্যন্ত উনারা কোন পোস্টগ্রাজুয়েশন না থাকলেও প্রমোশন পাবেন।
৬. ল্যাটারাল এন্ট্রি এবং অ্যাড হকদের অবৈধ প্রমোশন বন্ধ করতে হবে।
৭.ভবিষ্যতে সিভিল সার্ভিসে ভালো মানের ক্যাডার তৈরি করতে হলে সকল ক্যাডারকে প্রশাসনিক ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. উপ সচিব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সকল ক্যাডারকে ১০০% পদ বন্টন করতে হবে। বর্তমানে ৭৫% প্রশাসন ক্যাডার পায়। আর বাকি ২৫% সকল ক্যাডার পায়।এটা সিভিল সার্ভিসে একটি চরম বৈষম্য।
সূত্র : স্বাস্থ্য, কৃষি ও মৎস ক্যাডার অফিসার।